দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশকে হারাতেই নেমে গেল নিউজিল্যান্ড, বদলে গেল বিশ্বকাপের সমীকরণ !

মঙ্গলবার আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩-এ বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪৯ রানে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টুর্নামেন্টে চতুর্থবারের মতো জয়ের পতাকা তুলে ধরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই জয়ের পর বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে অনেক পরিবর্তন দেখা গেছে। বাংলাদেশকে হারিয়ে টপ-২-এ ঢুকে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিনের জয়ের ফলে নিউজিল্যান্ডকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এখন উভয় দলের পকেটেই রয়েছে আট পয়েন্ট। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার নেট রান রেট (+2.370) নিউজিল্যান্ডের (+1.481) থেকে অনেকটাই ভালো।

১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত। পাঁচ ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে ভারত।পয়েন্ট টেবিলে অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ স্থানে রয়েছে ও পাকিস্তান দল পঞ্চম স্থানে রয়েছে এবং আফগানিস্তান দল ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বর্তমানে তিন দলেরই অ্যাকাউন্টে রয়েছে চার পয়েন্ট। তবে অস্ট্রেলিয়ার নেট রান রেট কিছুটা ভালো রয়েছে। বাংলাদেশের হারের পর নেদারল্যান্ডস, শ্রীলঙ্কা ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড একটি করে স্থান লাভ করেছে। নেদারল্যান্ডস এখন সপ্তম স্থানে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা দল অষ্টম এবং ইংল্যান্ড দল নবম স্থানে নিজেদের জায়গা পাকা করেছে। তিন দলই এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে। এদিনের হারের ফলে তিনটি স্থান হারিয়েছে বাংলাদেশ।

শাকিব ব্রিগেড সপ্তম থেকে সোজা দশ নম্বরে চলে গিয়েছে।দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের কথা বলতে গেলে, কুইন্টন ডি’কক এবং এনরিখ ক্লাসেনের ব্যাটে আগুন জ্বলছিল। ডি’কক ১৪০ বলে ১৭৪ রানের ইনিংস খেলেন, যার মধ্যে ছিল ১৫টি চার ও সাতটি ছক্কা ছিল। চলতি টুর্নামেন্টে এটি ডি’ককের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ক্লাসেন মাত্র ৪৯ বল মোকাবেলা করে ৯০ রান করেন। দুটি চার ও আটটি ছক্কা মারেন তিনি। অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ৬৯ বলে সাতটি চারের সাহায্যে ৬০ রান যোগ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮২ রান করে। জবাবে বাংলাদেশ দল ৪৬.৪ ওভারে ২৩৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারে আউট হন ওপেনার তানজিদ হাসান (১২) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (০)। অধিনায়ক শাকিব আল হাসান (১) ও মুশফিকুর রহিম (৮)ও ব্যাট করেননি। লিটন দাস (২২) বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। বাংলাদেশের খারাপ অবস্থার আঁচ করা যায় মাত্র ৫৮ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায়। ১১ রানের অবদান মেহেদি হাসান মিরাজ। এক সময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ হয়তো ১০০ রানও করতে পারবে না। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ এক প্রান্ত শক্ত করে ধরে রেখেছেন। সপ্তম উইকেটে নাসুম আহামের (১৯) সঙ্গে ৪১ রান, হাসান মাহামদু (১৫) সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৩৭ রান এবং মুস্তাফিজুর রহমানের (১১) সঙ্গে নবম উইকেটে ৬৮ রানের জুটি গড়েন তিনি।

৪৬তম ওভারে নবম উইকেট হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে জেরাল্ড কোয়েটজি তিনটি এবং লিজাদ উইলিয়ামস, মার্কো জানসেন ও কাগিসো রাবাদা দুটি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট পান কেশব মহারাজ।