ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ যেখানে এখনো পর্যন্ত যে সমস্ত দলের থেকে ভালো পারফরম্যান্স আশা করা হচ্ছিল। যেমন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড অথবা পাকিস্তান এই সমস্ত দলগুলি জঘন্যতম পারফরম্যান্স করেছে। তবে বেশ কিছু দল ভালো পারফরম্যান্স করে নজর কেড়েছে যার মধ্যে অন্যতম আফগানিস্তান। আফগানিস্তান বিগত অনেক বছর ধরে বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করতে পারছে না, কিন্তু এই বছরে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করেছে, ভারতের কাছে পরাজিত হলেও এবার লাগাতার পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করেছে এবং নিজেদের সেমিফাইনালের রাস্তা পরিষ্কার করলো আফগানরা।
বিশেষত আজকের ম্যাচে কঠিন লড়াই করে আরও একবার আগের দিনের মতোই নিজেদের দৃঢ় মানসিকতার পরিচয় দিল বিশেষ করে আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। পুনের ময়দানে হওয়া আজকের ম্যাচটিতে একটি ভাল রকম ব্যাটিং ট্রাকের উপর শ্রীলঙ্কাকে প্রথমে তারা খুব অল্প রানের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলে। ২৪২ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দায়িত্ব সহকারে ব্যাটিং করতে দেখা যায়, প্রত্যেক ব্যাটসম্যানকে। মাত্র শূন্য রানে গুরবাজের উইকেট হারানো সত্ত্বেও এই টিমটা কিভাবে ম্যাচ এত বড় ব্যবধানে বিশেষ করে সাতটি উইকেট হাতে নিয়ে জিতে যায় তা রীতিমত চমকে দিয়েছে সকলকে।
শেষ পর্যন্ত কঠিন লড়াই করেছিল শ্রীলঙ্কার দল কিন্তু স্যার সত্বেও আফগানিস্তানের দৃঢ় মানসিকতার সামনে হার মানতে হয় তাদের। আফগানিস্তানের ক্যাপ্টেন শাহিদী একটি দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করেছেন, তার পাশাপাশি অলরাউন্ডার ওমারযাই তিনিও একটি দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। তার আগে হাফ সেঞ্চুরি করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিন নম্বরে ব্যাট করা রহমত শাহ। এমনকি ওপেন করা ইব্রাহীম জাদরান তিনিও ৩৯ রান করেছেন। অর্থাৎ গুড়বাজ ছাড়া আফগানিস্তানের প্রত্যেক ব্যাটসম্যান রান করেছেন এবং ফ্লপ বলে কিছু নেই তাদের সামনে যার কারণে এখন হঠাৎ করেই সেমিফাইনালের দরজা খুলে গেছে তাদের সামনে।
আজকের ম্যাচে জয়লাভ দিয়ে আফগানিস্তান ছটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি ম্যাচে জয়লাভ করে ফেলল, এখন তাদেরকে সেমিফাইনালে পৌঁছে দিতে হলে আগামী তিনটে ম্যাচের মধ্যে তিনটেই জিততে হবে এবং ছটি জয় আনতেই হবে। পাঁচটি ম্যাচ জিতে তারা কোনভাবেই সেমিফাইনালে যাবে না। তাদের আগামী ম্যাচগুলি রয়েছে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে যেখানে তারা নিঃসন্দেহে জিততে পারে। তবে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা এই দুটি কঠিন ম্যাচ তাদের সামনে রয়েছে এবং এই দুটি জিততে পারলে তাদের সেমিফাইনালে ওঠার চান্স অনেক বেড়ে যাবে।
অস্ট্রেলিয়াকে যদি তারা হারাতে পারে তাহলে অস্ট্রেলিয়া এই মুহূর্তে ছয়টি ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জিতে রয়েছে, অস্ট্রেলিয়া যদি আফগানিস্তানের কাছে পরাজিত হয় তাহলে সাতটি ম্যাচের মধ্যে চারটি জয় থাকবে তাদের। বাকি দুটি ম্যাচ যদি অস্ট্রেলিয়া জেতে, অস্ট্রেলিয়ার দুটো ম্যাচ রয়েছে একটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এবং একটি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। তাহলে তারা ছটি জয় সম্পন্ন করবে এবং আফগানিস্তানও ছটি জয়ের উপরেই থাকবে সেই সময় নেট দিয়েই কিন্তু বিচার হবে।
এর পাশাপাশি যদি দক্ষিণ আফ্রিকা ইতিমধ্যেই পাঁচটা ম্যাচ জিতেছে এবং তাদের এখনো তিনটে ম্যাচ বাকি আছে তাই তাদের আটকানো সম্ভব নয়, পাশাপাশি নিউজিল্যান্ড যদি তাদের বাকি ম্যাচগুলো হেরে যায় যার মধ্যে একটি ম্যাচ রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে এবং একটি ম্যাচ রয়েছে শ্রীলংকার সাথে এবং পাকিস্তানের সাথে । এই তিনটির মধ্যে যদি নিউজিল্যান্ড কোনো একটিতে বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে যদি পরাজিত হয় তাহলে তারা সব ম্যাচ জিতলেও ছটি ম্যাচ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে আর আফগানিস্তান ছটি ম্যাচ পর্যন্ত পৌঁছবে। এবং তখন বিচার হবে নেট রান রেট দিয়ে ।