রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইংল্যান্ডের ৬৫৭ রানের জবাবে পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ৫৭৯ রান তোলে। ৭৮ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। তারা ৭ উইকেটে ২৬৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। জয়ের জন্য ৩৪৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান ২৬৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ইংল্যান্ড ৭৪ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে। তবে পাকিস্তান হারার সাথে সাথেই রীতিমত লাভ হয় ভারতীয় দলের।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে গিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জোরদার ধাক্কা খেল পাকিস্তান। প্রথম দুইয়ে শেষ করে ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা কমল। তাতে লাভ হল ভারতের। এতদিন ভারতের পক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে ওঠার কাজটা একেবারে দুরূহ মনে হচ্ছিল। পাকিস্তান হেরে যাওয়ায় কিছুটা সহজ হল সেই রাস্তাটা।
আপাতত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC Table 2022) তালিকার শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। অজিদের পয়েন্ট পার্সেন্টেজ (পিসিটি) হল ৭২.৭৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পিসিটি হল ৬০ শতাংশ। শ্রীলঙ্কা আছে তিন নম্বরে (পিসিটি ৫৩.৩৩ শতাংশ)। চার নম্বরে আছে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার পয়েন্ট পার্সেন্টেজ হল ৫২.০৮ শতাংশ। ঠিক ভারতের নীচেই আছে পাকিস্তান। বাবর আজমদের পিসিটি হল ৪৬.৬৭ শতাংশ। অথচ একটা সময় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship 2022) ফাইনালে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল পাকিস্তানের। কারণ ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে পাঁচটি টেস্ট খেলতেন বাবররা। চেনা পরিবেশে প্রতিপক্ষকে মাত দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার সুযোগ ছিল। কিন্তু প্রথম টেস্টেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭১ রানে হেরে গিয়ে কাজটা কঠিন করে ফেলল পাকিস্তান।
বাবরদের সেই হারের পর লাভবান হয়েছেন রোহিত শর্মারা। বাংলাদেশকে যদি হোয়াইটওয়াশ করে দেয়, তাহলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি টেস্টে হেরেও ফাইনালে পৌঁছানোর সুযোগ থাকবে ভারতের সামনে। বিশেষত অস্ট্রেলিয়ার যা দল এবং স্পিনের বিরুদ্ধে যেভাবে এখন খোঁড়ায় ভারত, তাতে ঘরের মাঠে হলেও প্যাট কামিন্সদের হোয়াইটওয়াশ করার কাজটা অত্যন্ত কঠিন ছিল। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে দেয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট জিতে যায়, তাহলে ফাইনালে উঠে যেতে পারে।
পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড রাওয়ালপিণ্ডি প্রথম টেস্ট (Pakistan vs England)রাওয়ালপিণ্ডিতে প্রথম টেস্টে ‘হাইওয়ে’ পিচে ব্যাট করে ৬৫৭ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। জবাবে ৫৭৯ রানে অল-আউট হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে সাত উইকেটে ২৬৪ রানে ডিক্লেয়ার করে দেয় ইংল্যান্ডরা। ৩৪৩ রান তাড়া করতে নেমে ২৬৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়।