এশিয়া কাপের আজকের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকা। শ্রীলংকার মতো দলের সাথে দুর্বল বাংলাদেশের ম্যাচে কি হতে চলেছে সেটা আগে থেকে সবাই আন্দাজ করতেই পেরেছিল এবং শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো যেটা মানুষ এক্সপেক্ট করেছিল তবে এতটা লজ্জাজনক ভাবে পরাজিত হবে বাংলাদেশ সেটা হয়তো কেউ কল্পনা করেনি তবে বাংলাদেশ তো বাংলাদেশই, নিজেদের চরিত্র থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারে না। যার কারণে অনেক সময় অনেক ক্রিকেট ভক্তরা বাংলাদেশকে বিশ্ব ক্রিকেট থেকে ব্যান করার দাবি তুলে থাকেন কারণ তারা নিজেদের কোন ম্যাচেই লড়াই করে না, সর্বদা আত্মসমর্পণে ব্যস্ত থাকে তারা। ম্যাচ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক…
এশিয়া কাপের সুপার ফোর এর আজকের ম্যাচে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ, দুর্বল বোলিং লাইন আপ নিয়ে কি করে তারা প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় এটা রীতিমত অবাক করার মতো। প্রথমে বল করতে এসে রীতিমতো শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানদের রোষের মুখে পড়ে বাংলাদেশ, প্রথমেই শ্রীলংকার ওপেনিং ব্যাটসম্যান পাথুম নিসানকা অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেন, বাংলাদেশের ওপেনিং বোলিং কে বিধ্বস্ত করেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত ৪০ রানের স্কোরে তাকে আউট হয়ে ফিরে যেতে হয়। কিন্তু শ্রীলংকার তরফ থেকে সব থেকে বড় ইনিংসটা তখনও আসা বাকি।
শ্রীলংকার হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা কুশল মেন্ডিস একটি অনবদ্য হাফ সেঞ্চুরি করেন এবং শ্রীলংকার পজিশান আরও শক্ত করেন। তবে তার সঙ্গে সব থেকে বড় পার্টনারশিপ করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। কুশল মেন্ডিস ৫০ রানে আউট হন তবে সাদিরা সামনা বিক্রম ৯৩ রানের একটি অনুগত ইনিংস খেলেন তাও আবার মাত্র ৭২ বলে তার ইনিংসটিই ছিল ৮টি চার এবং ২টি বিশাল ছক্কা। সাদিরা সামারাবিক্রমা, যে অনবদ্য ইনিংসটি খেলেছেন তার জন্য বাংলাদেশের দল দিশেহারা হয়ে যায়। শেষের দিকে শ্রীলঙ্কা ক্যাপ্টেন দাসুন সানাকার ২৪ রানের শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভারে ২৫৮ রানের একটা বড় টার্গেট দিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। এত বড় টার্গেট চেজ করতে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশ যেটা হবারই ছিল।
বাংলাদেশের তরফ থেকে দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নঈম এবং মেহেদী হাসান, নিজেদের কৃতিত্ব মত ২১ এবং ২৮ রান করে দায়িত্ব সহকারে উইকেট দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা লিটন দাস তিনিও মাত্র ১৫ রান করে ফিরে যান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাত্র ৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ২৫৭ রান তারা করতে নেমে মাত্র ৮৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। এই সময় দলের হাল ধরেন ডাইনোসর আমলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। হাঁটুর বয়সী যুব ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে তিনি পার্টনারশিপ গড়েন।
মুশফিকুর দায়িত্ব সহকারে ম্যাচটাকে ফাঁসিয়ে ৪৮ বলে ২৯ রান করেন মাত্র ৬০ স্ট্রাইক রেটে। দায়িত্ব সহকারে তিনি এবং তাওহীদ হৃদয় ম্যাচটাকে ফাঁসিয়ে দেন খুব ধীরগতিতে ব্যাট করে।
যদিও তাদের পরে আর বাংলাদেশের কাছে সেই ভাবে ব্যাটসম্যান ছিল না সুতরাং এরা দুজন যা করেছে অন্তত বাংলাদেশ ১০০ রানে বান্ডিল হয়নি, সেই সম্মানটুকু রক্ষা করেছে।। তবে বাংলাদেশ আশাবাদী এই দল নিয়েই তারা বিশ্বকাপ জিতবে।