রবিবার, এশিয়া কাপের সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ দল সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় এবং ফাইনালে ওঠার দৌড়ে টিকে থাকতে এই দলের জন্য রবিবারের এই ম্যাচে জয় জরুরি। একই সঙ্গে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাও জয় দিয়ে ফাইনালে নিজেদের জায়গা মজবুত করতে চাইবে। এ দিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ২৫৭ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৩৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ ইনিংস।
প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে ২৫৭ রান করে। বাংলাদেশের সামনে দেয় ২৫৮ রানের টার্গেট। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৯৩ রান করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। কুশল মেন্ডিসও দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। পথুম নিসাঙ্কা ৪০ রান এবং অধিনায়ক শানাকা ২৪ রান অবদান রাখেন। বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ নেন তিনটি উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। তবে এই ম্যাচে শুধু যে পরাজিত হয়ে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ সেটাই নয় এই ম্যাচে এক অনবদ্য লজ্জার রেকর্ড করেছে বাংলাদেশের টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলা এখনো পর্যন্ত ১৩ টি ম্যাচের মধ্যে ১১ টি ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ যা রীতিমতো একটি লজ্জার। একটা দেশের বিরুদ্ধে খেলা ১৩ টি ম্যাচের মধ্যে তারা মাত্র দুটি ম্যাচে জিতেছে। এশিয়া কাপের সুপার ফোর এর আজকের ম্যাচে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ, দুর্বল বোলিং লাইন আপ নিয়ে কি করে তারা প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় এটা রীতিমত অবাক করার মতো। প্রথমে বল করতে এসে রীতিমতো শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানদের রোষের মুখে পড়ে বাংলাদেশ, প্রথমেই শ্রীলংকার ওপেনিং ব্যাটসম্যান পাথুম নিসানকা অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেন, বাংলাদেশের ওপেনিং বোলিং কে বিধ্বস্ত করেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত ৪০ রানের স্কোরে তাকে আউট হয়ে ফিরে যেতে হয়। কিন্তু শ্রীলংকার তরফ থেকে সব থেকে বড় ইনিংসটা তখনও আসা বাকি।
শ্রীলংকার হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা কুশল মেন্ডিস একটি অনবদ্য হাফ সেঞ্চুরি করেন এবং শ্রীলংকার পজিশান আরও শক্ত করেন। তবে তার সঙ্গে সব থেকে বড় পার্টনারশিপ করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। কুশল মেন্ডিস ৫০ রানে আউট হন তবে সাদিরা সামনা বিক্রম ৯৩ রানের একটি অনুগত ইনিংস খেলেন তাও আবার মাত্র ৭২ বলে তার ইনিংসটিই ছিল ৮টি চার এবং ২টি বিশাল ছক্কা। সাদিরা সামারাবিক্রমা, যে অনবদ্য ইনিংসটি খেলেছেন তার জন্য বাংলাদেশের দল দিশেহারা হয়ে যায়। শেষের দিকে শ্রীলঙ্কা ক্যাপ্টেন দাসুন সানাকার ২৪ রানের শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভারে ২৫৮ রানের একটা বড় টার্গেট দিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। এত বড় টার্গেট চেজ করতে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশ যেটা হবারই ছিল।
বাংলাদেশের তরফ থেকে দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নঈম এবং মেহেদী হাসান, নিজেদের কৃতিত্ব মত ২১ এবং ২৮ রান করে দায়িত্ব সহকারে উইকেট দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা লিটন দাস তিনিও মাত্র ১৫ রান করে ফিরে যান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাত্র ৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ২৫৭ রান তারা করতে নেমে মাত্র ৮৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। এই সময় দলের হাল ধরেন ডাইনোসর আমলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। হাঁটুর বয়সী যুব ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে তিনি পার্টনারশিপ গড়েন।