ভারতীয় ক্রিকেট তাঁর দুর্দান্ত ব্যাটসম্যানদের জন্য পরিচিত। ৭০ এবং ৮০ এর দশকে সুনীল গাভাসকরের আধিপত্য ছিল। টেস্ট ক্রিকেটে একজন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ স্কোর করে তিনি তাঁর ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন। তাঁর অবসরের পর ১৬ বছর বয়সী সচিন তেন্ডুলকর ক্রিকেট জগতে পা রাখেন। ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সচিনের অভিষেক হয়। তেন্ডুলকর তাঁর ২৪ বছরের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অনেক রেকর্ড তৈরি করেছেন এবং ভেঙেছেন।
সচিন ২০১৩ সালে অবসর নেন।ব্রায়ান লারা আরও বলেছিলেন যে, ‘আপনি যখন ভারতে ভারতীয় খেলোয়াড়দের কথা বলেন, তখন অনেকেই আছেন যারা আপনার বিরুদ্ধে রান করেন। কিন্তু বিদেশে এলে তাঁরা নিজেদের সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারতেন না। এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা খুব বেশি ছিল। এমন পরিস্থিতিতে এই ক্ষেত্রে সচিনের মতো ব্যাটসম্যানকে বিদেশের মাটিতে প্রথম দুর্দান্ত পারফর্ম করতে দেখলাম।’টেস্ট ও ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড এখনও ‘মাস্টার ব্লাস্টার’-এর নামে রয়েছে। সচিন বিশ্বের অনেক ব্যাটসম্যানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাও তাদের মধ্যে একজন। খেলার সেরা খেলোয়াড়দের তালিকাতেও এসেছেন লারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ব্রায়ান লারার।ফক্স ক্রিকেটের সঙ্গে এক বিশেষ কথোপকথনে সচিনের ক্যারিয়ারের কথা স্মরণ করে অনেক কথা বলেছেন লারা। ভারতীয় ক্রিকেটে সচিনের জায়গা কেউ নিতে পারবে না বলে মনে করেন লারা। ক্যারেবিয়ান কিং বলেছেন, তেন্ডুলকর যে পজিশনেই খেলতেন না কেন, বিরোধী দলকে আধিপত্য করতে দিতেন না এবং সেটাই তাঁকে ‘বিশেষ’ করে তুলেছে।
সচিন তেন্ডুলকরের প্রশংসা করে ব্রায়ান লারা বলেন, ‘আপনি সচিনকে যেখানেই নিয়ে যান না কেন, তার এমন টেকনিক ছিল যে সে যে কোনো জায়গায় ব্যাট করতে পারতেন। ভারতীয়রাও এ বিষয়ে জানতেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, শর্ট বলে চোট পান সচিন, এরপর রক্তক্ষরণ সত্ত্বেও ব্যাটিং চালিয়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বে এমন অনেক ব্যাটসম্যান থাকবেন যারা চিকিৎসার জন্য প্যাভিলিয়নে ফিরে যাবেন। কিন্তু সচিন ছবি ছিল একেবারে নিখুঁত।’
অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান আরও বলেন, ‘সচিনের কৌশল এবং খেলার ধরণ নিখুঁত ছিল। তিনি ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যান। ১৬ থেকে ২৪ বছরের তাঁর ক্যারিয়ার ছিল খুবই বিশেষ।’