শেষ ওভারে দরকার ৮,শেষ বলে ১,ব্যাটে লাগেনি বল, মাথা ঠাণ্ডা রেখে ইতিহাস লিখল উইলিয়ামসন!দেখুন ভিডিও

১৯৪৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ডারবানে যাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড টেস্টটি দেখেছিলেন, তাঁদের কেউ আজ ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি দেখে থাকলে তাঁদের কাছে দেজা ভ্যুর মতোই লেগেছে! মানে এমনটা তারা আগেও দেখেছেন বলেই মনে হওয়ার কথা!৭৫ বছর আগে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ বলে টেস্ট জিতেছিল ইংল্যান্ড। আজ ক্রাইস্টচার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাওয়া নিউজিল্যান্ডের জয়টিও শেষ বলে! টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড এবং প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা ৩৫৫ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৭৩ রান করে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ৩০২ রান করে শ্রীলঙ্কা, এর জবাবে উইলিয়ামসন শুরু করেন লড়াই।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন ড্যারেল মিচিল। যার দৌলতে নিউ জিল্যান্ড সামান্য একটু লিড পেয়েছিল প্রথম ইনিংসে। নিউজিল্যান্ডের এই জয়ের ফলে ভারত সোজাসুজি প্রবেশ করল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। তাই সারা ভারত আজকে উইলিয়ামসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। ২৮৫ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড, একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ড কিন্তু পাহাড়ের মত দাঁড়িয়ে থাকেন কেন উইলিয়ামসন যিনি দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে ১২১ রানের ইনিংস খেলেন এবং শেষ বল পর্যন্ত গিয়ে নিজের দলকে জেতান।

এক্ষেত্রে আবারো উইলিয়ামসনের যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ড্যারেল মিচিল। দুর্দান্ত একটা ৮১ রানের ইনিংস তিনি খেলেছেন। ক্রাইস্টচার্চে রান তাড়া করা দলের শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১ রান। শেষ বলে আসিতা ফার্নান্দোর বাউন্সারটি ব্যাটে আনতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন।বল ব্যাটে না লাগলেও দৌড় লাগান উইলিয়ামসন। শ্রীলঙ্কার উইকেটকিপার নিরোশান ডিকভেলা বল হাতে নিয়ে স্ট্রাইক প্রান্তে স্টাম্প ভাঙতে থ্রো করেছিলেন, কিন্তু হয়নি। বোলার আসিতা বল তুলে নিয়ে থ্রো করেন ননস্ট্রাইক প্রান্তে। ভেঙে যায় স্টাম্প। দেখুন সেই ভিডিও :

তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে দেখে উইলিয়ামসনকে নটআউট ঘোষণা করেন। ম্যাচ জিতে যায় নিউজিল্যান্ড।৭৫ বছর আগে শেষ বলে জেতা টেস্টের সঙ্গে আজ ক্রাইস্টচার্চে শেষ বলে জেতা টেস্টের এত এত মিল। দেজা ভ্যু না হয়ে উপায় কী!

তবে নিউজিল্যান্ডের এই জয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এর জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিউজিল্যান্ডের জয়ের ফলে পরাজিত হয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং ভারতীয় দলের যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার পথে সেটি শেষ হয়ে যায় এবং ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে আগামী জুন মাসে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এর ফাইনাল ইংল্যান্ডের ময়দানে।