বড়ো আপডেট: ম্যাচ ফিক্সিং করে ধরা পড়লেন এক বাংলাদেশী ক্রিকেটার !

আবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কালোছায়া ক্রিকেটে। ৮ ক্রিকেটার ও কর্তার বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। সারা বিশ্বে বিশেষত এশিয়া মহাদেশে ক্রিকেট একটি ভীষণ জনপ্রিয় খেলা এবং ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে হাজার হাজার ছেলে এই বাংলাতেও অলিতে গলিতে প্র্যাকটিস করে চলেছে সারা বছর, অথচ এই ক্রিকেট নিয়ে যখন ফিক্সিং এর মত ব্যাপার সামনে আসে তা রীতিমতো ভীত নাড়িয়ে দেয় ক্রিকেট সংগঠন গুলির। আজ এবার ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে গেল এক বাংলাদেশী ক্রিকেটার, শুধু জড়িয়ে গেল বলা ভুল হবে রীতিমতো প্রমাণিত হয়ে গেছে যে তিনি ম্যাচ ফিক্সিং করেছেন।

বেশ কয়েক বছর আগে আইপিএলে উঠেছিল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। রীতিমতো ভারতীয় ক্রিকেটের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল সেই ঘটনা। ওই ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন একাধিক কর্তা ও ক্রিকেটার।আর এ বার ম্যাচ ফিক্সিং এর জন্য কলঙ্কিত হল আবু ধাবির টি-টেন ক্রিকেট লিগ (Abu Dhabi T10 League)। এই ঘটনার জেরও সে দিকে যায় কিনা, তাই দেখার। তবে টি-টেন লিগ ঘিরে এমন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ কিন্তু আইসিসিও (ICC) স্বীকার করে নিয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে বাংলাদেশি প্লেয়ার নাসির হোসেনের নাম সামনে এসেছে। নাসির হোসেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক নামকরা ক্রিকেটার, যিনি তার ব্যক্তিগতভাবে ইন্টারভিউতে জানিয়েছিলেন তিনি বিরাট কোহলিকে ঘেন্না করেন, এমনই অদ্ভুত ধরনের ক্রিকেটার এই নাসির হোসেন।

বাংলাদেশের প্লেয়ার নাসিরের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিং এর তীব্র অভিযোগ উঠেছে, শুধু টাকা নয় আবার দামি উপহার নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তদন্তকারী অফিসারদের কাছে তা গোপন করার চেষ্টাও করেছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় টিমের হয়ে ১৯টা টেস্ট খেলেছেন নাসির। সেই সঙ্গে ৬৫টা ওয়ান ডেও খেলেছেন। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৬৫ টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলা কোন ছোটখাটো ব্যাপার নয় যা প্রমাণ করে একটা লম্বা সময় ধরে তিনি বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেছেন, এরকম একজন ক্রিকেটার যখন ম্যাচ ফিক্সিং এর সাথে জড়িত হয় তখন অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

আইসিসি ম্যাচ ফিক্সিং জাতীয় বিষয়ে বরাবর কড়া মনোভাবই তুলে ধরেছে। এ ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যাটিং কোচ আজহার জাইদি, আমিরশাহির ঘরোয়া ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান ও টিম ম্যানেজার শাদাব আহমেদকে সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিন ভারতীয় সহ বাকি অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। দুর্নীতিদমন শাখার অফিসাররা তদন্তের পর কী সিদ্ধান্ত জানান, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সবাই।

দুই ভারতীয় কর্তা কৃষ্ণণ কুমার চৌধুরি ও পরাগ সাংভিও জড়িয়েছেন এই ঘটনায়। তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে রয়েছে ব্যাটিং কোচ সানি ধিলোঁ। এক বিবৃতিতে আইসিসি বলেছে, ‘২০২১ সালের টি-টেন লিগের কিছু ম্যাচ ফিক্সিং করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তা কার্যকর হয়নি। ইসিবির দুর্নীতিদমন শাখার অফিসারদের নিয়োগ করেছে আইসিসি। তাঁরা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

পরাগ, কৃষ্ণণ ও সানির বিরুদ্ধে অভিযোগ বেশ জোরালো। ম্যাচের ফলাফল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন। সত্য গোপন করেছেন। সব মিলিয়ে এই তিন জন বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন।