বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার জন্য ২ প্লেয়ারকে দায়ী করে বি’স্ফোরক পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার !

পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে রীতিমতো তাঁর হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, পাকিস্তানকে জিততে হলে, সব বিভাগের প্লেয়ারদেরই মিলিত ভাবে অবদান রাখতে হবে। শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে রোমহর্ষক ম্যাচে ১ উইকেটে হেরে যায় পাকিস্তান। সেই সঙ্গে তাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশাও কার্যত বিশ বাও জলে চলে গিয়েছে।এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে, পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২৭০ রান করে। সেই রান তাড়া করতে নেমে জয় ছিনিয়ে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে পাকিস্তানের বোলাররা লড়াই করেছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

এই হারের পর মিকি আর্থার অকপটে স্বীকার করে নেন যে, ‘দেখুন নির্মম হলেও সত্যিটা হল, আমরা এখনও দলগত ভাবে নিখুঁত খেলাটা খেলিনি। একসঙ্গে সকলে মিলে লড়াই করিনি। অবদানও রাখতে পারিনি।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি মনে করি না যে আমরা ইউনিট হিসেবে যথেষ্ট ভালো ব্যাটিং করেছি। যা পিচ ছিল, সেই পিচে অন্তত ৩০০ রান হত। আমরা পর্যাপ্ত রান সংগ্রহ করতে পারিনি।’তিনি তাদের পারফরম্যান্সের অসঙ্গতির কথাও তুলে ধরেছেন। যেভাবে তিনি বলেছেন যে দলের যে রান করা উচিত ছিল সেটা করা হয়নি সুতরাং এই জায়গায় রান না করার জন্য অবশ্যই দায়ী পাকিস্তানের সেই সমস্ত ব্যাটসম্যানরা বিশেষ করে বাবর আজম যিনি প্রচুর বল নষ্ট করেছেন কিন্তু রান বেশি করতে পারেননি। পাকিস্তান দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার প্রধান কারণ বাবর আজম এবং ইমাম উল হকের পারফরম্যান্স না করা।

বলেছেন, ‘তার পরে আমরা বোলিং পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে টিম হিসাবে অবদান রাখতে পারিনি।’তিনি আরো বলেন, ‘এদিন আমি ভাবছিলাম, আমরা প্রতিযোগিতার সেরা বোলিং পারফরম্যান্স করেছি। আমরা সত্যিই ভালো বল করেছি, তবে আমি এখনও ভাবছি, আমাদের রানের দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম।’

মিকি আর্থার স্বীকার করেছেন যে, দলের প্রচেষ্টার অভাব নেই। কিন্তু খেলোয়াড়দের ফর্মে না থাকাটাই সমস্যা তৈরি করছে। বিশেষ করে ব্যাট হাতে।চলতি বিশ্বকাপের শুরুতেই পাকিস্তান পরপর দুই ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু করেছিল। তার পর টানা চার ম্যাচে হার। এর নিটফল, পাক ব্রিগেডের নকআউট পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে আর্থার বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘কী হবে আপনি বলতে পারবেন না। তাই আমাদের আবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে। কম্বিনেশনগুলি নিয়ে ভাবতে হবে। দলের মধ্যে যে ফাঁকফোকড় রয়েছে, সেগুলো ভরাট করতে হবে।’

পাকিস্তানের এখন বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাকি রয়েছে। সেই ম্যাচে তাগের লক্ষ্যের কথা বলতে গিয়ে আর্থার দাবি করেছেন, ‘আমাদের অনেক ক্ষেত্রে এখনও উন্নতি করতে হবে, এবং আমরা তিনটি ম্যাচ জিতেই এই টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাই।’

সব মিলিয়ে পাকিস্তান যেভাবে পারফরম্যান্স করেছে এবারের বিশ্বকাপে তা রীতিমতো লজ্জাজনক।