বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবি রাখা বাংলাদেশ বিশ্বের সমস্ত টুর্নামেন্টে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয় যদিও সে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে তারা নিজেদেরকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বলেই দাবি করে থাকে এমনকি এশিয়া কাপে ভারতের C টিমকে পরাজিত করা সত্ত্বেও তাদের মনে হয় তারা এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর এতদিন ধরে তাদের যে মাস্টার প্ল্যান চলছিল যে মিরপুরে বাইরের দলকে ডেকে স্পিন পিচ বানিয়ে যেখানে ১৫০ রানে খেলা শেষ, সেখানে আমরা ঠিক জিতে নেব, এবার সেই প্ল্যানকেই ঘুরিয়ে তাদের উপরে চালিয়ে দিল নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের তারকা লেগ স্পিন বোলার ইস সোধী অনবদ্য বোলিং করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছটি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের কোমর ভেঙে দেয় এবং 254 রানের পিছনে তারা করতে নানা বাংলাদেশ 2০০ রানও পার করতে পারেনি এবং ঘরের মাঠে তারা লজ্জার হার হেরেছে।কথাই আছে গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল, বাংলাদেশ বিশ্বের সব জায়গায় সমস্ত টুর্নামেন্টে গিয়ে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয় অথচ নিজেদেরকে তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মনে করে, অন্তত তাদের ক্রিকেট ভক্তরা। তাদের জায়গা ঠিক কোথায় সেটা হল একবার তাদেরকে বুঝিয়ে দিল আজকে নিউজিল্যান্ডের B টিম, হ্যাঁ এটাকে নিউজিল্যান্ডের B টিম বলা যেতেই পারে কারণ নিউজিল্যান্ডের কোন নামি দামি প্লেয়ার এই সিরিজে খেলছে না। তার সত্বেও বাংলাদেশকে গো হারা করল নিউজিল্যান্ড, ইতিহাস গড়লেন ইস সোধি।
বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাওয়া এবং বাংলাদেশের মতো কন্ডিশনে এসে জয় পাওয়া অসাধারণ ব্যাপার বলে উল্লেখ করেছেন নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ইশ শোধি। ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারে ৩৫ রানের কার্যকরি ইনিংস খেলার পরে বল হাতে ১০ ওভারে মাত্র ৩৭ রান দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের ২৫৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬৮ রানে বান্ডিল হয়ে গেল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ৮৬ রানের একটা বিশাল হার। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে শোধি জানান, এখানে পূর্বে তারা ভালো ক্রিকেট খেলেননি, ‘খুব ভালো একটা দিন। ঐতিহাসিকভাবে আমরা এখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি, ওই হিসেবে এটা খুব ভালো একটা জয়। দ্বিতীয় ইনিংসে এখানে বল স্পিন হবে, টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার এটা একটা বড় কারণ।’
বাংলাদেশের তরফ থেকে তামিম ইকবালের 44 এবং মাহমুদুল্লাহ আড়িয়ালের ৪৯ ছাড়া আর কেউ কোনো রকম রান করতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডের তরফ থেকে টম ব্লন্ডারের 68 ছাড়াও প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই ভাল রান পেয়েছে। রাচিন রবিন্দ্র এবং ম্যাককনচি বলে টার্ন পাচ্ছিলেন বলেও উল্লেখ করেছেন শোধি, ‘এমনকি রাচিন এবং ম্যাককনচি বলে স্পিন পাচ্ছিল। বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে পারা খুব ভালো ব্যাপার। কিন্তু এখানে খেলা খুব কঠিন। ওই হিসেবে অসাধারণ এক জয়।’ ইশ শোধি এই ম্যাচে মানকাড আউট হয়েছিলেন। ইনিংসের ৪৬তম ওভারে তাকে মানকাডিং করেন বাংলাদেশ পেসার হাসান মাহমুদ। থার্ড আম্পায়ারের সহায়তা নিয়ে মাঠে থাকা আম্পায়ার তাকে আউটও দেন। পরে অধিনায়ক লিটন আউট প্রত্যাহার করে তাকে ক্রিজে ফিরিয়ে আনেন।
বিষয়টি নিয়ে শোধি বলেছেন, ‘মানকাডের পর লিটন আমাকে ফিরিয়ে আনায় খুব ভালো লেগেছে।’ শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২৫৪ রান করে নিউজিল্যান্ড। এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের গতির মুখে পড়ে যায় কিউইরা।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যান দাড়িয়ে থাকতে পারেনি, সামান্য হলেও একটু লড়াই করেছিলেন বাংলাদেশের ডাইনোসর আমলের ক্রিকেটার তামিম ইকবাল এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। যুব ক্রিকেটাররা কেউ কোনো রকম পারফরম্যান্স করতে পারেনি।