ভয়ংকর এই মাছ দেখা মাত্রই মেরে ফেলার নির্দেশ, কিন্তু কেন?

মাছ কী করে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে? আবার দেখামাত্রই হত্যা করতে হবে? এমনটা প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। তবে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে স্নেকহেড মাছ বিষয়ে এমন সতর্কবার্তাই দেয়া হয়েছে। দেখা মাত্রই মাছটিকে মেরে ফেলতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেন মেরে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে?

```

যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্রবিজ্ঞানীরা জল ছেড়ে ডাঙায় বাঁচতে পারে এমন মাছের সন্ধান পেয়েছেন। মাছটিকে ‘ভ’য়ংকর’ আখ্যায়িত করে দেখামাত্র মে’রে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, মাছগু’লো দেখতে অনেকটা সা’পের মতো। তাই নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্নে’কহেড ফিশ’। ২০০২ সালে স্নে’কহেড ফিশ ধ’রা এবং বিক্রি বে’আইনি বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এটিকে হত্যার নির্দেশের কারণ কি ?

হত্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, স্নেকহেড উঁচু মানের শিকারী প্রাণি। এর ক্ষুধা অনেক বেশি। মাছটির খাদ্য তালিকায় অন্য ছোট মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া থেকে প্রায় সবই আছে। শুধু তাই নয়, পানি ছাড়াই নিঃশ্বাস নিতে পারে স্নেকহেড মাছটি। চলাফেরাও করতে পারে। আর অনায়াসেই এক জলাশয় থেকে আরেক জলাশয়ে চলে যেতে পারে। তাহলে এসবই কি মাছটিকে ভয়ঙ্কর হিসেবে চিহ্নিত করে? না, শুধু এটুকুই নয়, এর সবথেকে বড়ো কারণ হলো …

```

মাছটির ভয়াবহ দিক , একবার যদি স্নেকহেড মাছটি অন্য জায়গায় পৌঁছাতে পারে তাহলে এর বিস্তার ঠেকানো খুবই মুশকিল। কেননা, মাছটির নারী প্রজাতি বছরে দশ হাজার পর্যন্ত ডিম দিতে সক্ষম। অল্প অক্সিজেনে টিকে থাকা ও ব্যাপক প্রজননের কারণে স্নেকহেড মাছদের খাদ্য হিসেবে গন্য হওয়া অন্য ক্ষুদ্র প্রাণিরা উজার হয়ে যেতে পারে। নষ্ট হয়ে যেতে পারে অন্যপ্রজাতির প্রাণিদের খাদ্য-শৃঙ্খল তথা বাস্তুসংস্থান।স্নেকহেড মাছের ভয়ঙ্কর ‘খ্যাত’ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ইতোমধ্যেই একটি প্রামাণ্যচিত্রও বানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। সেই তথ্যচিত্রের নাম দেয়া হয়েছে ‘ফিশজিলা’। এসব বিষয় পর্যালোচনা করে স্নেকহেড বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। দেখা মাত্রই মেরে ফেলতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি মেরিল্যান্ড প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিজ্ঞানীরা গবেষণায় জানতে পেরেছেন, এর শ্বা’সতন্ত্র এমনভাবে তৈরি যে বাতাস থেকে মানুষের মতো শ্বা’স নিতে পারে। ফলে জল থেকে ডা’ঙায় তুললেও জীবন ধারণে কোনো সমস্যা হয় না।তবে আচমকা পরিবেশ বদলের ফলে কিছুটা নি’স্তেজ হয়ে পড়ে। জলা’শয়ের অন্যান্য প্রাণী, ছোট মাছ এমনকি ছোট ইঁদুরও এর খাদ্য তালিকায় রয়েছে।

আর এই কারণেই অন্যান্য জলজ প্রাণীর কাছে এটি বিপদের কারণ। লম্বায় তিন ফুটের কাছাকাছি মাছটি প্রায় ১৮ পাউন্ড ওজনের হয়। সেই স’ঙ্গে রয়েছে ধা’রালো দাঁত। যার সাহায্যে শি’কারে কোনো সমস্যা হয় না।