মণ্ডপ থেকে বর পালাল, কনে বিয়ে করে ফেললেন নেমন্তন্ন খেতে আসা অতিথিকে

কথায় বলে, ম্যারেজেস আর মেড ইন হেভেন। অর্থাৎ কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে, তা আমি আপনি নই, একেবারে স্বর্গ থেকে ঠিক হয়ে আসে। কখনও কখনও অবশ্য একটু আধটু গন্ডগোল হয়ে যায়। কর্নাটকে ঠিক এমনই কাণ্ড হয়েছে। হবু বর ঠিক বিয়ের আগে পালিয়ে গিয়েছেন, হবু বৌ বিয়ে করে ফেলেছেন সেজে গুজে নিমন্ত্রণ খেতে আসা এক যুবককে

```

কর্নাটকের চিকমাগালুরু জেলার তারিকেরে তালুকে নবীন আর সিন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু বাদ সাধলেন নবীনের এত দিনের বান্ধবী। তাঁকে বিয়ে না করে নবীন যদি অন্য কাউকে বিয়ে করেন, তবে আমন্ত্রিত সব অভ্যাগতের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন তিনি। বান্ধবীর মৃত্যুর আশঙ্কায় নবীনেরও বিয়ের ইচ্ছে মাথায় ওঠে। বিয়ের কিছু আগে তাঁকে নিয়ে চম্পট দেন তিনি।

```

বিয়ের লগ্ন হয় হয় আর বর কিনা পালিয়েছে। ব্যাপার দেখে কেঁদে আকুল হন নবীনের ভাবী স্ত্রী সিন্ধু। তাঁকে সামলাতে হিমসিম খেয়ে যান বাড়ির লোকেরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তখনই তাঁরা পাত্র খুঁজতে বার হন। ভাগ্য প্রসন্ন ছিল, হাতের কাছেই মিলে যায় সৎ পাত্র। বিয়ের নিমন্ত্রণ খেতে এসেছিলেন বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন বা BMTC-র জনৈক কন্ডাক্টর, নাম চন্দ্রাপ্পা। তাঁকেই দেওয়া হয় টোপর পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়ার প্রস্তাব। ভেস্তে যেতে চলা বিয়ে সুসম্পন্ন হওয়ায় নেমন্তন্ন খাওয়ার সম্ভাবনা আর নতুন বৌ নিয়ে বাড়ি ফেরার আশায় রোমাঞ্চিত হয়ে ওঠেন তিনি। তক্ষুনি রাজি হয়ে যান।

ব্যাস, আর দেখে কে! ওই মণ্ডপেই বিয়ে হয়ে যায় সিন্ধুর। শুধু পাত্র পাল্টে যান। পেশায় চিকিৎসক, এমবিবিএস এবং এমডি সিন্ধুর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল পেশায় বহুজাতিক সংস্থার কনসালট্যান্ট নবীনের সঙ্গে, তার বদলে তিনি বিয়ে করেন BMTC বাস কন্ডাক্টরকে। কিন্তু তাতে কী! বিয়ের জুড়ি তো ঠিক হয় স্বর্গে! মিঞা বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজি?