কেকেআরের প্লে অফের ভবিষ্যত নিয়ে বড়ো মন্তব্য করলেন আম্বাতি রাইডু !

অবশেষে আইপিএলে ছন্দ ফিরে পেল কেকেআর। শেষ তিন ম্য়াচে ঝুলিতে পাঁচ পয়েন্ট পুরে নিয়েছে অজিঙ্ক রাহানের দল। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ম্য়াচে বৃষ্টির জন্য বিঘ্ন হয়। যার জন্য ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল সেখান থেকে। এরপর দিল্লি ক্যাপিটালস ও রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ২ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরে নিয়েছে নাইট শিবির। যার জন্য এই মুহূর্তে ১১ ম্য়াচ থেকে ঝুলিতে ১১ পয়েন্ট পুরে নিয়ে প্লে অফের দৌড়ে এখনও আশা জিইয়ে রেখেছে তিনবারের ট্রফিজয়ীরা। কিন্তু তবুও দলের পারফরম্য়ান্স নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছেই। বিশেষ করে মিডল অর্ডারের ধারাবাহিকতা।

ক্রিকেট ওয়েবসাইট ESPN ক্রিনইনফোতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন অম্বাতি রায়াডু। প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটার কেকেআরের প্লে অফের সম্ভাবনা ও তাদের এবারের পারফরম্য়ান্স নিয়ে মুখ খুলে বলেন, ”মাঝের ওভারগুলোতেই কেকেআর কোথাও না কোথাও পিছিয়ে পড়ছ। আইপিএলে ফর্মে থাকা বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে যদি ম্য়াচে জয় ছিনিয়ে আনতে হয়, তবে সবার আগে এই জায়গাটা শুধুরে নিতে হবে কেকেআরকে। বিশেষ করে মাঝের ওভারে রান করে যাওয়া। এমন একজন বা দুজনকে দায়িত্ব নিতে হবে, যাঁরা চালিয়ে খেলে দ্রুত রান তুলতে পারবে মাঝের ওভারগুলোতে।”

ক্রিকেট ওয়েবসাইট ESPN ক্রিনইনফোতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন অম্বাতি রায়াডু। প্রাক্তন সিএসকে তারকা আরও বলেন, ”যদি এবারও কেকেআর চ্যাম্পিয়নশিপের তকমা ধরে রাখতে চায় তবে মিডল অর্ডারটাই ওদের শুধরে নিতে হবে। কারণ ওখানেই প্রতিপক্ষ শিবিরের থেকে অনেকটা পিছিয়ে যাচ্ছে তারা।”

উল্লেখ্য, গত কয়েকটি ম্যাচে ম্য়ানেজমেন্ট কিছু স্ট্র্যাটেজিক বদল এনেছে। তাতে বেঙ্কটেশ আইয়ার, রমনদীপের মত প্লেয়ারকে লোয়ার অর্ডারে নামিয়ে আনা হয়েছে। আর একইসঙ্গে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরের দিকে তুলে আনা হয়েছে আন্দ্রে রাসেল ও রিঙ্কু সিংহের মত বিগ হিটারদের। যা কাজেও দিয়েছে দিল্লি ও রাজস্থান ম্য়াচে। রাসেল তো আগের ম্য়াচে একাই ঝোড়ো অর্ধশতরান হাঁকিয়ে দলের স্কোর দুশোর গণ্ডি পার করিয়ে দিয়েছিলেন।এদিকে রাজস্থান ম্যাচের পর পার্পল ক্যাপের দৌড়ে ঢুকে পড়লেন বরুণ চক্রবর্তী।

রবিবাসরীয় ইডেন গার্ডেন্সে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে নিজের নির্ধারিত চার ওভারে ৩২ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী (Varun Chakravarthy)। এই দুই উইকেটের সুবাদেই মরশুমের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় প্রবেশ করলেন বরুণ চক্রবর্তী।

১১ ম্য়াচে ২০.৭৩ গড় ও ৭.২৩ ইকোনমিতে ১৫টি উইকেট নিয়ে ফেলেছেন বরুণ চক্রবর্তী। তিনি আপাতত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন তিনি।