বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী,দিনে দুপুরে যা কান্ড ঘটল তার সাথে!বিশ্বাসই করতে পারছেন না

সপ্তাহের শুরুতেই অঘটন। বীরভূমের মাড়গ্রামের বেনেগ্রামের কাছে তেঁতুলিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল চালিয়ে রামপুরহাটে আসছিলেন ধান ব্যবসায়ী ঋষি মণ্ডল। দিনে দুপুরে যা কান্ড ঘটে গেল তার সাথে, অবিশ্বাস্য ব্যাপার। প্রশ্ন উঠছে অনেক কিছুকে নেই। এদিন সোমবারে বাইক নিয়ে বের হন ব্যবসায়ী। কিন্তু…

সোমবার সকাল ন’টার ঘটনা। অভিযোগ, সেই সময় দু’জন দুষ্কৃতী পথ আটকায় তাঁর। তখনই একজন ওই কৃষকের বাইকের চাবি কেড়ে নেয়। পাশাপাশি মোটর সাইকেলের টুলবক্সে থাকা টাকা বের করে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন ব্যবসায়ীকে লক্ষ করে গুলি করে একজন। গুলি লাগে ব্যবসায়ীর ডান পায়ে। গুলির আওয়াজ শুনে পথচারীরা ঘটনাস্থলে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মাড়গ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

এই বিষয়ে ধান ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার মালিক প্রতিদিন ব্যবসার কাজে বাইরে যান। সন্ধ্যে সাত-আটটার মধ্যে বাড়ি যান।আজকে উনি ব্যবসার জায়গায় আসছিলেগন। সেই সময় দু’জন এসে ওকে দাঁড় করায়। তারপর ওর থেকে চাবি কেড়ে নেয়। ডিকিতে দু’আড়াই লাখের মতো টাকা ছিল। সেই টাকা ছিনতাই করতে যায়। ও যখন বাধা দেয় তখন গুলি করতে যায়। গুলি গিয়ে পায়ে লাগে। দুজন ছিল। এরপর আমাকে ফোন করে ডাকেন উনি। আমি দৌড়ে চলে যাই।’বস্তুত, ব্যবসায়ীকে গুলি এই প্রথম নয়।

এর আগে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। এর আগে কলকাতার বেলেঘাটায় দুষ্কৃতীরাজের অভিযোগ ওঠে। এলাকার এক প্লাইউড ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দোকান মেরামতির বরাত না দেওয়ায় এই হামলা চালানো হয় বলে দাবি অনির্বাণ সাহা নামে বছর ৪৪’র ওই ব্যবসায়ীর।

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অনির্বাণকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবি পরিবারের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেলেঘাটা থানার পুলিশ। এলাকারই এক যুবকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। তিনি আবার রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী বলেও অভিযোগ উঠেছে। বেধড়ক মারধরের পর বেলেঘাটারই একটি নার্সিংহোমের সামনে তাঁকে ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা। গত সোমবারের এই ঘটনায় ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় অনির্বাণকে। সেখানে গিয়েই পুলিশ তাঁর বয়ান নেয়।