বাকিরা কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। বেঙ্কটেশ আইয়ার ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। বাংলার হয়ে প্রথম ইনিংসে ৫৪ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন মহম্মদ শামি। ২টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন সুরজ জসওয়াল ও মহম্মদ কাইফ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মধ্যপ্রদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ১৬৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৬১ রানের লিড পেয়ে যায় বাংলা। শুভ্রাংশু সেনাপতি ৪৭ রান করেন। ৪১ রান করেন রজত পতিদার।
ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে বাংলা টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে। প্রথম ইনিংসে ২২৮ রান তুলে অল-আউট হয় তারা। শাহবাজ আহমেদ নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন। তিনি ৮০ বলে ৯২ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। ৪৪ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন ক্যাপ্টেন অনুষ্টুপ মজুমদার। ঋদ্ধিমান প্রথম ইনিংসে ১০ রান করেন। মধ্যপ্রদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪টি করে উইকেট নেন আরিয়ান পান্ডে ও কুলবন্ত খেজরোলিয়া।
তীরে এসে তরী ডোবার উপক্রম হয়েছিল বাংলার। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে একসময় হারের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিল অনুষ্টুপ মজুমদারদের সামনে। শেষ ইনিংসে বাংলার ঝুলিয়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জিং টার্গেটের খুব কাছে পৌঁছে যায় মধ্যপ্রদেশ। শেষ ইনিংসে দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করে এমপি-কে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। তবে শেষমেশ মহম্মদ শামির কামব্যাক ম্যাচ রুদ্ধশ্বাস জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখে বাংলা।
অনুষ্টুপরা টানটান ম্যাচে ১১ রানে হারিয়ে দেন মধ্যপ্রদেশকে। শামি নিজে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তবে ব্যাটে-বলে বাংলার জয়ে সব থেকে বড় অবদান রাখেন শাহবাজ আহমেদ। চলতি রঞ্জি মরশুমে এটিই বাংলার প্রথম জয়।