চাঞ্চল্য কাটোয়াতে!বাড়িতে ছিল নিম গাছ,কেটে ফেলতেই যা কাণ্ড ঘটছে!হাড় হিম করা ঘটনা

শুরু হয়েছিল উচ্ছেদ প্রক্রিয়া। কিন্তু তাঁর ‘ঘরে’ হাত পড়তেই বিপত্তি। পালটা উচ্ছেদকারীদেরই ঠাঁই নাড়া করতে কোমর বেঁধেছেন তিনি। অথচ কোনও পুলিশ-প্রশাসন কিছুই করতে পারছেন না।

কারণ, প্রতিহিংসা পরায়ণ সেই ‘তিনি’ তো কোনও রক্তমাংসের মানুষ নন, বরং এক ‘অশরীরী’! আপাতত অশরীরীর তাণ্ডবে কাঁটা কাটোয়ার (Katwa) আখড়া গ্রামের আচার্য পরিবার। বাড়ি থেকে অশরীরীকে তাড়াতে ওঝার দ্বারস্থ হয়েছে তারা। যদিও এই ভূতের গল্পে বিশ্বাস করতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চ। বিষয়টি তারা খোঁজ নিয়ে দেখছে।কাটোয়ার আখড়া গ্রামের গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা রঞ্জিত আচার্য, পৌরহিত্য করেন। আবার রাজমিস্ত্রির….

```

রাজমিস্ত্রির জোগারের কাজও করতে যান। বাড়িতে রয়েছেন বিধবা মা, স্ত্রী ও এক ছেলে নয়ন। নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসার। তাঁদের বাড়ির মধ্যেই রয়েছে একটি নিমগাছ। সেই নিমগাছ কাটার প্রক্রিয়া শুরু হতেই বিপত্তি। এমন পরিস্থিতি যে আতঙ্কে কাঁটা আচার্য পরিবার গৃহত্যাগী হওয়ার জোগার। রঞ্জিতবাবুদের শৌচাগারের সামনের উঠোনে বেড়ে ওঠা নিমগাছটি প্রায় ১৮ বছরের পুরনো। এযাবৎকাল গাছটিতে তিনি হাত দেননি। কিন্তু সম্প্রতি গাছটি কেটে ফেলার কাজ শুরু করেছেন।

বাড়ির মালিক রঞ্জিত বাবু জানাচ্ছেন, গাছটিতে হাত পড়ার পর থেকেই তাঁদের বাড়িতে শুরু হয়েছে অশরীরীর উপদ্রব। ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর হচ্ছে। কে এমনটা ঘটাচ্ছে তা অবশ্য তাঁরা জানেন না। কারণ, কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। লোকজন এই ব্যাপারেই কথা বলছেন এমনটা দেখা যাচ্ছে। তবে আদৌ কি কোনো অশরীরী নাকি অন্য কোনো ব্যাপার এখন সেটাই সব থেকে বড়ো প্রশ্ন।

```

রঞ্জিতবাবুর কথায়,”নিমগাছটি বছর-বছর একটু আধটু ছেঁটে দিতাম। কিন্তু কোনও সমস্যা হয়নি। গাছের পাতা পড়ে বাড়িঘর অপরিষ্কার হচ্ছিল। তাই গাছটি সম্পূর্ণ কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। দিন দশেক আগে গাছের ডালপালা কেটে দেওয়ার পর যখন কাণ্ডের একাংশ কাটা হয়, সেদিন রাত থেকেই ওই অশরীরী ঘরের মধ্যে জিনিসপত্র ভাঙচুর করছে। চোখের সামনেই জলের বালতি, চালের টিন উলটে দিচ্ছে। বাসনপত্র ফেলে দিচ্ছে।” একা রঞ্জিতবাবু নন, একই কথা বলছেন তাঁদের প্রতিবেশীরাও। প্রতিবেশী দিব্যেন্দু ঘোষের কথায়, “আমি একবার রঞ্জিতদের বাড়িতে কিছুক্ষণ ছিলাম। আমার চোখের সামনেই জলের বালতিটা কে যেন লাথি মেরে ছিটকে ফেলে দিল। ভয়ে পালিয়ে এসেছি। তারপর থেকে ওদের বাড়িতে যাইনি।”