ঘরের ভিতর থেকে ক্রমাগত কান্না শব্দ! প্রতিবেশীরা ছুটে এসে যা দেখলেন, মর্মান্তিক!

স্বামী কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকে। বাড়িতেই পাঁচ বছরের ছোট কন্যা সন্তানকে নিয়ে থাকতেন তিনি। আর সেখানেই ঘটে গেলো মর্মান্তিক ঘটনা।শিশুর কান্নাকাটি শুনে ছুটে ঘরের ভিতরে ঢোকেন সকলে। কানে গোঁজা হেডফোন, বিছানায় তখনও পড়ে রয়েছে মোবাইল, হয়ত গান শুনছিলেন বা অন্যকিছু।

এরপর পরিবারের সদস্যরা ঘরে এসে যা দেখলেন তাতে রীতিমত স্তম্ভিত তাঁরা। ওই অবস্থাতেই পড়ে রয়েছেন গৃহবধূ। গলায় ফাঁস লাগিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল তাঁর। দাসপুর থানার সাহাপুরের ওই মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ দাসপুর থানার সাহাপুরের তীর্থপতি সামন্তের স্ত্রী মৌসুমী সামন্তের ঝুলন্ত দেহ তারই বাড়ির শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে…

```

মৃতের স্বামী কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকে। বাড়িতেই পাঁচ বছরের ছোট কন্যা সন্তানকে নিয়ে থাকতেন তিনি। এরপর ওইদিন অনেকক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও শিশুটি মা-কে দেখতে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। তখনই প্রতিবেশীরা এসে দেখেন মৌসুমীর শোওয়ার ঘর বন্ধ। এরপর দরজা ঘুলতেই হঠাৎ উদ্ধার হয় মৌসুমীর ঝুলন্ত দেহ।

প্রতিবেশীরা দেখেন মহিলার কানে তখনও হেডফোন গোঁজা। বাচ্চা মেয়েটিকে সরিয়েই মা এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই মনে করছে পুলিশ ও পাড়া প্রতিবেশী। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামী তীর্থপতি সামন্ত ইতিমধ্যেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। পারিবারিক অশান্তি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ নাকী অন্য কারণ? এই মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য! সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে দাসপুর থানার পুলিশ।

```

মৃত মহিলার আত্মীয় জানান, “সরস্বতী পুজোর দিন শেষবার কথা হয়েছিল। তারপর দু থেকে তিনদিন আর কোনও কথা হয়নি। এরপর আজকে হঠাৎ ওর এমন খবর শুনলাম। ওর স্বামী নেপালে থাকেন।” পাড়া-প্রতিবেশী বলেন, “ওর স্বামীরও শরীর ভালো না। কেন এমন কাজ করল কে জানে। বুঝতেই পারছি না কিছুতেই। আজকেই শুনলাম এমন ঘটনা। অনেকদিনই কোনও কথা হয়নি ওর সঙ্গে। ওর মেয়েটাকে অনেকক্ষণ থেকে কাঁদতে শুনছিলাম। আর মায়েরও সাড়া-শব্দ পাইনি। পরে এসে দেখি…