লাল গ্রহের নীলচে টিলায় সোনালি আভা! মঙ্গলের রহস্যময় ছবি প্রকাশ নাসার

লাল গ্রহে নীলচে পাহাড়ের টিলা, তার উপর রোদ পড়ে ঝকঝকে সোনালি রং! মঙ্গলের (Mars) এমনই ছবি প্রকাশ করে তাক লাগাল নাসা (NASA)। ছবিটি যদিও কৃত্রিমভাবে তৈরি বলে স্বীকার করে নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। দেখা গিয়েছে, আমেরিকার টেক্সাসের প্রায় সমান একটি এলাকাজুড়ে এই নীলচে টিলার স্তর তৈরি হয়েছে। ছবিটি প্রকাশ্যে আসতেই মুগ্ধ নেটজনতা।

আসলে নাসার মঙ্গলাভিযান তো এই কিউরিওসিটি কিংবা পারসিভিয়ারেন্সেই শুরু নয়। বরং প্রায় দু’দশক আগে সেই ওডিসিকে (Odyssey) দিয়ে তা শুরু হয়েছিল। ওডিসিই মঙ্গলের কক্ষপথে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে পাক খাচ্ছে। ২০০২ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত প্রায় ২ বছর ধরে নানা ছবি তুলেছে লাল গ্রহের। অরবিটারের থার্মাল এমিশন ইমেজিং সিস্টেমের (THEMIS) মাধ্যমে মঙ্গলের উত্তর মেরুর দিক থেকে ছবিগুলি তোলা হয়েছিল। সেখান থেকে ছবি বাছাই করে স্পেশ্যাল এফেক্টের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে লাল গ্রহে নীলচে পাহাড়ের ছবি। ওডিসির কার্যকালের ২০ বছরকে সম্মান জানাতে এই সিদ্ধান্ত, এমনই জানিয়েছে নাসা। এই ওডিসি মিশনের নেপথ্যে রয়েছে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি।

```

এবার আসা যাক ছবিতে। এর দুটি দিক আছে। একটা দিকে দেখা যাচ্ছে, সূর্যের ছটায় সোনালি রঙের টিলা, যার পাদদেশ অনেকটা নীলচে। রাতের আঁধারে তা এক মায়াবী দৃশ্য তৈরি করেছে। আরেকদিক থেকে দেখলে মনে হবে, হলদে-কমলা রঙের ছটা। এই দিকটা মঙ্গলের অপেক্ষাকৃত শীতল পরিবেশের ছবি। এই প্রকল্পের প্রধান বিজ্ঞানী জেফ্রি প্লট বলছেন, ”ওডিসি ছবি পাঠানোর আগে আমাদের ধারণাই ছিল না, মঙ্গলে জলের অস্তিত্ব থাকতে পারে। কোথাও জমাটবাঁধা বরফ, কোথাও জলীয় অংশ। এই যানটি শুধুমাত্র মঙ্গলে কী কী উপাদান আছে, তারই ছবি পাঠাতে সক্ষম।” আর থার্মাল এমিশন ইমেজিং সিস্টেমে ওডিসির তোলা প্রায় ১০ লক্ষ ছবি থেকে বেছে, বিশেষ এফেক্ট দিয়েই তৈরি করা হয়েছে লাল গ্রহের নীলচে পাহাড়।