২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খারাপ পারফরমেন্সের পর ২০২২ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গেলেও খালি হাতে ফিরতে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। তবে এবারের বিশ্বকাপের সব থেকে বড় পাওনা হলো বিরাট কোহলি পুনরায় সেই ফর্মে ফিরেছেন যার জন্য তিনি সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিরাট দুরন্ত ছিলেন। একের পর এক ম্যাচে তিনি অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন যার দৌলতে ভারত সেমিফাইনাল পর্যন্ত খুব সহজেই পৌঁছে গেছে। সেমিফাইনালে ভারত পরাজিত হয়েছে তবে সেখানেও একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন বিরাট কোহলি আর বিরাট কোহলির একটি শটকে সর্বকালের সেরা শট ঘোষণা করে দিল আইসিসি।
একের পর এক অসাধারণ সব ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু সবচেয়ে স্মরণীয় ইনিংস ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। যে ম্যাচে অপরাজিত ৮২ করে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেব কোহলি।এই বিশ্বকাপে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারত প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তানের। ওই ম্যাচে একটা সময়ে মনে হচ্ছিল, ভারত বুঝি হেরে যাবে। কিন্তু বিরাট কোহলি ওই সময়ে কার্যত অসম্ভবকে সম্ভব করে দেন।১৯ তম ওভারের শেষ দুই বলে হ্যারিস রউফকে পরপর দু’টি ছক্কা মেরে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন বিরাট কোহলি। এর পর শেষ ওভারও নাটকীয় ছিল। অবশেষে ভারত এই ম্যাচ জেতে।
বিশ্বকাপের শেষে আইসিসি-র তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপের এমন ৫টি মুহূর্ত রয়েছে, যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। সেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা বিরাট কোহলির ইনিংসকে বিশেষ জায়গা দেওয়া হয়েছে। বিশেষত যে মুহূর্তে ৮ বলে ২৮ রানের দরকার ছিল সেই মুহূর্তে পাকিস্তান বোলার হ্যারিস রাউফের বিরুদ্ধে কোহলি যে দুটি ছয় মেরেছিলেন তার মধ্যে প্রথম ছয়টি ছিল একটি রীতিমতো অসম্ভব শট। নিচে রইলো সেই ভিডিও :
আইসিসি লিখেছে, ‘ভারত সমস্যায় পড়েছিল সেই সময়ে। মনে হচ্ছিল মাত্র আট বলে ২৮ রান দরকার ছিল। হ্যারিস রউফ ভাল বোলিং করছিলেন। নিজের চতুর্থ ওভারে তাঁর আর দু’বল বাকি ছিল। তখনও পর্যন্ত রউফ তাঁর স্পেলে মাত্র ২৪ রান দিয়েছিলেন। তখন কোহলির দু’টি ছক্কা ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়।
অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলের যাত্রা সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে শোচনীয় হারের পর শেষ হয়ে যায়। বিশ্বকাপের শুরুটা ভালো করলেও, সেমিফাইনালের ব্রিটিশদের কাছে ল্যাজেগোবরে হয় টিম ইন্ডিয়া। ফলে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ১৫ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে। এ দিকে পাকিস্তানকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড।