আমদাবাদে পাঁচ ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন রিঙ্কু সিংহ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটারের দাপটে হেরে যায় গুজরাত টাইটান্স। কিন্তু আগামী দিনে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারার ক্ষমতা নেই রিঙ্কুর। এমনটাই মত বীরেন্দ্র সহবাগের। ভারতের প্রাক্তন ওপেনার হঠাৎ এমন দাবি করলেন।ক্রিকেট জীবনে সহবাগকে বিধ্বংসী মেজাজে দেখা যেত। তিনি ক্রিজে থাকলে দ্রুত রান উঠত ভারতের স্কোরবোর্ডে।

টেস্টে ক্রিকেটে সহবাগের ব্যাট চললে এক দিনেই উঠে যেত ৩০০ রান। তেমনই ব্যাটারের মতে রিঙ্কু ছয় ছক্কা মারতে পারবেন না। শুক্রবার রিঙ্কু ক্রিজে থাকায় আশা রেখেছিলেন কলকাতার সমর্থকরা। সহবাগ বলেন, “একটা বিশ্বাস রয়েছে যে, রিঙ্কু ক্রিজে থাকলে কলকাতার আশা রয়েছে। যে সময় ধোনি ম্যাচ শেষ করত, সেই সময় একটা বিশ্বাস ছিল যে, ধোনি ক্রিজে থাকা মানে আশা রয়েছে ম্যাচ জেতার। ৯০-এর দশকে যেমন সচিন তেন্ডুলকরকে নিয়ে এই বিশ্বাস ছিল।

```

একই জিনিস এখন কেকেআরে রিঙ্কুকে নিয়ে হয়েছে। এর আগে এমনটা হত আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে।”রিঙ্কু যে পাঁচ ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন, সেটা এক বারই সম্ভব বলে মনে করছেন সহবাগ। ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বলেন, “ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। রিঙ্কুও আগামী দিনে এটা আর করতে পারবে না। এই রেকর্ড হয়তো এক দিন ভেঙে যাবে। কিন্তু রিঙ্কু কোনও দিন এক ওভারে ছয় ছক্কা মেরে নিজের রেকর্ড ভাঙতে পারবে না।

এমন ইনিংস খেলার জন্য ভাগ্য লাগে। ওই ওভারটা যদি আলজারি জোসেফ করত তা হলে রিঙ্কুও হয়তো জানে যে, ও জেতাতে পারত না। নেটে যশ দয়ালকে অনেক বার খেলেছে রিঙ্কু। তাই ও পরিকল্পনা করে নিতে পেরেছিল।”

```

শুক্রবার ম্যাচ শেষে প্রায় একই কথা শোনা গিয়েছিল নীতীশ রানার মুখেও। কলকাতার অধিনায়ক বলেন, ‘‘২৩০ রান তাড়া করা সহজ নয়। সেটা যে মাঠেই হোক না কেন। আর রোজ রোজ তো রিঙ্কু আমাদের জেতাবে না। ১০ দিনে এক দিন ওর ওই ইনিংস দেখা যাবে। রোজ রোজ না।’’