বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০৯ রানের হারে ভারত। তারপর আজ অর্থাৎ ১২ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছে তারা। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন এই দলে বেশ কিছু পরিবর্তনও আনা হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঘোষিত দলে আগেই জায়গা পেয়েছিলেন তরুণ ক্রিকেটার যশস্বী জয়েসওয়াল। এবার যে তিনি ভারতীয় অধিনায়কের সঙ্গে ওপেন করবেন সেই বিষয়েও জানানো হয়েছে ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে। সদ্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র শেষ হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে নতুন চক্র শুরু করেছে ভারতীয় দল।
এই ম্যাচে নিজের নতুন ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু করতে চলেছেন যশস্বীও। তরুণ এই ব্যাটার দলে সুযোগ পাওয়ার ফলে ভারতের ইনিংসের শুরুর দিকে ডানহাতি এবং বাঁ-হাতি কম্বিনেশনও বজায় থাকবে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এই বিষয়ের ওপর চিন্তাভাবনা করেছিল। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ডমিনিকায় ম্যাচ খেলতে নামার আগে অধিনায়ক রোহিত শর্মাও নিশ্চিত করে বলেন যে তাঁর সঙ্গে ওপেনার হিসেবে নামবেন যশস্বী।তবে ২১ বছর বয়সী এই তরুণ ক্রিকেটারের সুযোগ পাওয়ায় ফলে আর এক প্রতিভা সম্পন্ন ভারতীয় ক্রিকেটারকে প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়ার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। জয়েসওয়াল যদি ভালো পারফর্ম করতে না পারেন তাহলে মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে দলে নেওয়ার কথা চিন্তা করতে পারে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। মায়াঙ্ক জাতীয় দলের হয়ে শেষবার খেলেন হয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্টে খেলেন।
২০২২ সালে সেই ম্যাচ হয় বেঙ্গালুরুতে। তারপর থেকেই জাতীয় দলে ব্রাত্য তিনি। তবে এই বিষয়ে তিনি নিজে কোনও নেতিবাচক কথা ভাবছেন না। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আমি এমন একজন যে এই বিষয় নিয়ে খুব একটা বেশি ভাবনা চিন্তা করি না। আমি আমার দিক থেকে সব রকম চেষ্টা করতে চাই এবং করি। তবে সবকিছু আমার হাতে নেই। আমার পাওয়া প্রতিটি সুযোগে মাঠে নেমে আমি নিজের সেরাটা দিতে চাই। রান করতে চাই এবং ম্যাচ জিততে চাই।’
মায়াঙ্কের জন্য একমাত্র রাস্তা এখন রয়েছে ঘরোয়া মরশুমে ভালো পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলের জায়গা ছিনিয়ে নেওয়া। দলে জায়গা না পাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এটাকে কোনও চাপ হিসাবে দেখছি না বরং সুযোগ হিসেবে নিচ্ছি। আমি আগেই বলেছি যেখানেই খেলি না কেন যে টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকি না কেন সেই ম্যাচটা আমি জিততে চাই। মাঠে আমি অনেক আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে খেলি কিন্তু মাঠের বাইরে আমি ততটাই শান্ত।’
ঘরোয়া মরশুমে মায়াঙ্কের পরিসংখ্যান যদি দেখা হয় তাহলে দেখা যাবে তিনি বেশ রানের মধ্যেই রয়েছেন। এই ওপেনার ২০২২-২৩ রঞ্জি ট্রফি মরশুমে ৯৯০ রান করেন। তিনি দলীপ ট্রফির সেমিফাইনালে উত্তরাঞ্চলের বিরুদ্ধে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে দুটি অর্ধশতরানের মাধ্যমে এই মরশুম শুরু করেছেন। তবে বর্তমানে নির্বাচকেরা আইপিএলকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। সেখানে আগরওয়াল বিশেষ কিছু দাগ কাটতে পারেননি। এখন দেখা যাক কবে তিনি ফের জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামতে পারেন।