২০১১ ওডিআই বিশ্বকাপ তিনি ২২ গজ মাতিয়েছিলেন। এক যুগ পর ফের দেশের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপ। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা ব্যাটার যুবরাজ সিং এখন পুরোদস্তুর সংসারী। স্ত্রী হেজেল কিচ ও ছেলে ওরিয়ন তো ছিলই এ বার যুবির পরিবারে এল নতুন সদস্য। তাঁর স্ত্রী হেজেল কিচ সদ্য এক ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই সন্তান ও স্ত্রীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন যুবি। ছবিটি মাঝরাতে তোলা।
দুই সন্তানকে পালা করে ফিডিং বোতলে দুধ খাওয়াচ্ছেন যুবি ও হেজেল। যুবির পোস্ট করা এই মিষ্টি ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই ভাইরাল। যুবরাজ ক্যাপশনে লিখেছেন, এতদিনে তাঁর পরিবার সম্পূর্ণ হল।২০১৬ সালে যুবরাজ ও হেজেলের বিয়ে হয়। গতবছর পিতৃদিবসে যুবরাজ জানান তাঁর পুত্রসন্তানের নাম। দিনটির শুভেচ্ছা জানিয়ে যুবি লিখেছিলেন, ‘এই পৃথিবীকে তোমাকে স্বাগত ওরিয়ন কিচ সিং।’ যুবির ছেলের এই অভিনব নাম নেটিজেনদের বেশ পছন্দ হয়েছিল। সদ্যোজাত মেয়ের নামও বিগ ব্রাদার ওরিয়নের নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হয়েছে। যুবি-হেজেলের কন্যা সন্তানের নাম অরা।
পরিবারের নতুন সদস্যের আগমনের খবর দিয়ে যুবরাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “অনিদ্রার রাতগুলি এখন আরও সুখের মনে হচ্ছে। আমাদের ছোট্ট প্রিন্সেস অরাকে স্বাগত জানাই। পরিবার সম্পূর্ণ হল।” ছবির নীচে কমেন্ট বক্স ভরে গিয়েছে শুভেচ্ছায়। কে নেই সেখানে। সানিয়া মির্জা, রিচা চাড্ডা-সহ খেলা ও বিনোদন জগতের একঝাঁক মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছেন যুবি ও হেজেলকে। সাধারণ অনুরাগীরা তো রয়েছেই। পিতৃত্বের জার্নিটা পুরোদমে উপভোগ করছেন যুবি।
এক সাক্ষাৎকারে যুবি জানান, হেজেল তাঁকে বাবার ভূমিকার জন্য তৈরি করে দিয়েছেন।২০১৬ সালে যুবরাজ সিং এবং হ্যাজেল কিচ বিয়ে করেছিলেন। ইতিপূর্বে যুবরাজ সিং এবং হ্যাজেল কিচের লভ স্টোরি যথেষ্ট আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল। হ্যাজেলকে বিয়ের জন্য রাজি করাতে যুবরাজকে যথেষ্ট ঘাম ছোটাতে হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় যুবির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট প্রায় ৩ মাস পর অ্যাকসেপ্ট করেছিলেন হ্যাজেল। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সিনেমায় হ্যাজেলকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তিনি সলমান খানের সিনেমা ‘বডিগার্ড’-য়েও ছিলেন। এই সিনেমায় তিনি করিনা কাপুরের বান্ধবীর ভূমিকায় অভিনয় করেন।
সবমিলিয়ে নেটিজেন থেকে সেলিব্রিটি সকলেই শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন যুবরাজ সিং কে।২০১৯ সালের ১০ জুন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ২ বার (২০০৭ এবং ২০১১) বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে যুবরাজ সিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এই দুটো টুর্নামেন্টেই তিনি বিধ্বংসী পারফরম্যান্স করেন। যুবরাজ তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে ৪০টি টেস্ট ম্যাচ ৩০৪টি একদিনের ম্য়াচ এবং ৫৮টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। ৪০ টেস্ট ম্যাচের ৬২ ইনিংসে তিনি মোট ১,৯০০ রান করেছেন। যুবরাজের একদিনের ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে যদি আলোচনা করতে হয়, তাহলে ২৭৮ ইনিংসে তিনি মোট ৮,৭০১ রান করেছেন। এছাড়া ৫৮টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে তিনি ১,১৭৭ রান করেছেন। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে ৯টি, একদিনের ক্রিকেটে ১১১টি এবং আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে তিনি ২৮টি উইকেট শিকার করেছেন।