সামনেই রয়েছে দুই মেগা টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ এবং তারপরে বিশ্বকাপ। ভারতীয় দল চাইবে অন্তত দুটি টুর্নামেন্টেই জয়লাভ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের দাপট দেখাতে। লোকেশ রাহুল (KL Rahul) আর শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) ভারতীয় টিমে প্রত্যাবর্তনকে পূর্ণ সমর্থন করছেন তিনি। দুই ক্রিকেটার চোটের কারণে দীর্ঘ দিন টিমে র বাইরে। কেমন অবস্থায় আছেন, তিনিও জানেন না। তবে, ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে (World Cup 2023) সাফল্য পেতে হলে যে এই দুই ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে, তা নিয়ে দ্বিমত নেই। সেই সঙ্গে এও মনে করছেন, এশিয়া কাপই (Asia Cup 2023) সেরা মঞ্চ, যেখানে রাহুল-শ্রেয়সের পাশাপাশি পুরো টিমকে দেখা নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে।
এতেই শেষ নয়, টিম কম্বিনেশন দাঁড় করাতে সুবিধা হবে। যিনি এত কথা বলছেন, তিনি কপিল দেব। ১৯৮৩ সালে ভারতকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। সেই কপিলও কিন্তু আশা-আশঙ্কায় দুলছেন। কেন?কপিলের যুক্তি, ‘প্লেয়ারদের পরীক্ষা করে নেওয়ার এটাই সেরা সময় ও সুযোগ। সামনে বিশ্বকাপ যখন, তখন সুযোগ তো দিতেই হবে। কিন্তু বিশ্বকাপের ঠিক আগে টিমের কেউ যদি চোট পায়, কী হবে তখন? পুরো টিমকেই কিন্তু মূল্য দিতে হবে তার। এশিয়া কাপে কিন্তু তা হবে না। এখানে চোট সেরে উঠে আসা প্লেয়াররা খেলার সুযোগ পাবে। ব্যাট-বল করবে। তাতে ছন্দ ফিরে পাবে। খুব খারাপ যদি কিছু হয়, তা হলে তাদের কেউ বিশ্বকাপে হয়তো আবার চোট পাবে।
চোটে ছিটকে গেলে সেই প্লেয়ারের খারাপ লাগা তৈরি হবেই। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, চোট থেকে যে প্লেয়ার ফিরে আসছে, তাকে একটা সুযোগ দিতেই হবে। যদি সে ফিট থাকে, বিশ্বকাপে অবশ্যই খেলবে।’১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে ভারতে ক্রিকেটের জোয়ার এসেছিল। সেই পথে হেঁটেই আজ ভারতীয় ক্রিকেট মসনদ তৈরি করে ফেলেছে। কপিল দেব ছিলেন সেই জয়ের কাণ্ডারী। ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন কিন্তু একই সঙ্গে এও বলে দিচ্ছেন, কোনও ক্রিকেটারের চোট নিয়ে যদি সংশয় থাকে, তাঁকে কোনও ভাবেই টিমে জায়গা দেওয়া উচিত নয়।
কপিল বলছেন, ‘প্রতিভার কোনও অভাব কোথাও নেই। কেউ যদি ফিট না হয়, তা হলে টিমে বদল আনার সুযোগ থাকবে। এশিয়া কাপের প্ল্যাটফর্ম থেকে বিশ্বকাপে পা রাখার চমৎকার সুযোগও মিলবে। সেই কারণেই চাই, এশিয়া কাপে নেমে ওরা নিজেদের সেরাটা দিক। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ হবে, সবাই জানে। সেই কারণেই একটা সেরা টিম খাড়া করতে হবে ভারতকে।’
সব মিলিয়ে এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স যে প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সমস্ত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মহলের স্ক্যানার এর মধ্যে থাকবে এবং সকলেই প্রতিটি প্লেয়ারের পারফরম্যান্স দিকে খুব ভালোভাবে নজর রাখবেন এটা পরিষ্কার কারণ দলের সিলেকশনটা এবারে অনেকটাই অন্যরকম।