প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় স্কোর গড়ার কথা শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) গলায়। কিন্তু কোথায় কী? টেনেটুনে কোনওরকমে ১৬৪ রান উঠল খাতায়। নাজমূল হোসেন শান্ত উইকেটে টিকে না থাকলে বাংলাদেশের কপালে আরও দুঃখ ছিল। বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ (Sri Lanka vs Bangladesh)। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়। দলীয় ৩৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলেন সাকিবরা। অধিনায়কের ব্যাটে এল ১১ বলে ৫ রান! প্রবল চাপের মুখে নাজমূল হোসেন শান্ত ১১২ বলে ৮৯ রানের মন্থর ইনিংস খেলে দলের স্কোর দেড়শোর উপরে নিয়ে গেলেন। ৪২.৪ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গিয়েছে ১৬৪ রানে। চারটি উইকেট নিলেন ‘বেবি মালিঙ্গা’ মাথিশা পাথিরানা।
বাংলাদেশের হয়ে ওডিআইতে অভিষেক হল তানজিদ হাসান তামিমের। বাংলাদেশের যুব দলের এই ওপেনারের সিনিয়র টিমে অভিষেক পর্বটা সুখের হল না। ২ বলের মোকাবিলা করে আউট হলেন শূন্য রানে। চোটের কারণে এ বারের এশিয়া কাপে নেই অলরাউন্ডার ওয়নিন্দু হাসারাঙ্গা-সহ পেস ত্রয়ী দুষ্মন্ত চামিরা, লাহিরু মধুশঙ্কা এবং লাহিরু কুমারা। বলতে গেলে সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় সারির বোলিং ব্রিগেড নিয়ে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। তাতেও কুপোকাত টাইগাররা।
আইপিএলের পরিচিত মুখ মাথিশা পাথিরানা এবং মহেশ থিকসানা। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা নেহাত কম। তাঁরা দু’জন মিলে নিলেন ছয়টি উইকেট। দলীয় ৪ রানে তানজিদ হাসানকে ফেরান থিকসানা। ৮৯ রানে শান্তকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের সব আশায় জল ঢেলে দেন তিনিই। পাথিরানার চার শিকারী হলেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। এই স্বল্প রানের পুঁজি নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে আটকে দিতে পারে নি বাংলাদেশ। মুখ থুবড়ে পড়ে শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানদের সামনে।
শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানরা অসাধারণ ব্যাটিং করে এবং এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে অনবদ্ধ জয় লাভ করে সেমিফাইনালের দিকে আরো এক পা এগিয়ে দিল শ্রীলংকা। প্রথমের দিকে শ্রীলংকার বেশ কয়েকটা উইকেট পড়ে গেলেও পরের দিকে অসাধারণ ব্যাটিং করে আসালঙ্কা এবং সামারাবিক্রমা। মাত্র ৪৩ রানের মাথায় কিন্তু উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলংকা কিন্তু তারপরে তাদের এই দুই ব্যাটসম্যান দায়িত্বের সাথে নিজের দলকে বিপদ থেকে বের করে আনে এবং একটা লম্বা পার্টনারশিপ দেয়।
বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিশাল দাবি বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে যদিও তাদের দল সেইসবের কোন ইচ্ছে যে রাখে না সেটা তাদের পারফরমেন্স দেখলেই বোঝা যায়। তাই শ্রীলংকার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করল বাংলাদেশের দল যেখানে শ্রীলংকার দলে তাদের মেইন বোলার উপস্থিতই ছিলেন না।