খুনেরও আগে শ্রদ্ধাকে চরম নির্যাতন আফতাবের! সামনে এল ছবি সহ চাঞ্চল্যকর প্রমাণ

হাড়হিম করা শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের পরতে পরতে যেন রহস্য লুকিয়ে। তদন্তে রহস্যের জট যত খুলছে, ততই সামনে আসছে একের পর এর চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার জানা গেল, নির্মমভাবে খুন হওয়ারও আগে, লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনেওয়ালার হাতে একবার নির্যাতন শিকার হয়েছিলেন শ্রদ্ধা। সেইসময় শ্রদ্ধাকে বেধড়ক মারধর করে আফতাব। যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত হতে হয়েছিল শ্রদ্ধাকে। ৩ দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি। এই ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালে। সেই সময়কার শ্রদ্ধার একটি ছবি থেকে স্পষ্ট তাঁর মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন।

লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিনের হাতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ঘটনা চমকে দিয়েছে দেশবাসী। খুনের ভয়াবহতা, নৃশংসতা শিরদাঁড়া দিয়ে বইয়েছে ঠান্ডা স্রোত। প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করা থেকে ফ্রিজারে দেহাংশ সংরক্ষণ, তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক ভয়ংকর হাড়হিম করা চাঞ্চল্যকর তথ্য। আগেই আফতাব পুলিসকে জানিয়েছিল যে, ঘরের মেঝে থেকে রক্তের দাগ ধুয়ে মুছে ফেলতে ব্লিচিং পাউডার সহ আরও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার করে সে। পাশাপাশি তদন্তে আরও উঠে এসেছে যে, শ্রদ্ধাকে খুনের পর তার দেহ ৩৫ টুকরো করে যে ফ্রিজারে আফতাব সংরক্ষণ করেছিল, সেই ফ্রিজও শ্রদ্ধার টাকাতেই কেনা।

```

একদিকে ফ্রিজে যখন প্রেমিকার দেহাংশ থেকে কাটা মুণ্ডু মজুত, সেই অবস্থাতেও ফ্ল্যাটে নিত্য নতুন বান্ধবীদের নিয়ে এসে উদ্দাম যৌনতায় মেতেছে আফতাব। পাশাপাশি, মাঝ রাতে ফ্রিজে রাখা শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ডু বের করে তার সঙ্গে কথাও বলত সে। এমনকি মেক-আপও করে দিত শ্রদ্ধার কাটা মণ্ডুতে! এরপর সেই কাটা মুণ্ডু জঙ্গলে ফেলার সময়, যাতে কেউ চিনতে না পারে, তাই শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়েও দেয় ফুড ব্লগার আফতাব।

শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রতিদিন রাত ২টো থেকে শুরু হত প্রেমিকার কাটা দেহাংশ জঙ্গলে ফেলার জন্য আফতাবের অভিযান। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ওই ৩৫ টুকরো ফেলে আফতাব।শুধু তাই নয়। জেরায় আফতাব কবুল করেছে যে খুনের পর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের নাড়িভুঁড়ির কিমা বানায় সে! তারপর সেই ‘কিমা’ করা নাড়িভুঁড়ি কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়! শ্রদ্ধার ওয়াকারের খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই আফতাবের ‘ডুয়াল পার্সোনালিটি’ ভাবিয়ে তুলেছে তদন্তকারীদের। বাস্তবে নৃশংস!

```

কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মানবতার’ প্রতীক। আফতাব আমিনের ‘ডুয়াল পার্সোনালিটি’ চমকে দেওয়ার মতো। ২৬ বছরের শ্রদ্ধা ওয়াকারকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে আফতাব। তারপর নিথর শরীরকে ৩৫ টুকরো করতে একটুও হাত কাঁপেনি ২৮ বছরের ফুড ব্লগার।