বাজারে সস্তায় ঢালাও বিক্রি হচ্ছে লিচু! কিনেছেন কি মরেছেন! সাবধান

সুন্দর লালচে গোলাপি রঙের লিচু। দেখলেই লোভ লাগবে। চড়া দাম দিয়ে কিনেও ফেলছেন সবাই। কিন্তু এই রূপ যে পুরোটাই ‘মেকআপ’ তা জানেন তো? আজ্ঞে হ্যাঁ, এই লিচু খেলে হতে পরে ভীষণ রকম বিপদ। কি কি সমস্যায় পড়তে পারেন এর থেকে আর এই লিচু কিভাবে তৈরী করা হয়?

বাজার জুড়ে দেদার বিকোচ্ছে লাল ডাই-তে চোবানো লিচু। একটু ভালো করে দেখলেই বোঝা যাবে সেই অপ্রাকৃতিক গাঢ় রঙ। এগুলি শরীরে গিয়ে সর্বনাশ ঘটাচ্ছে। অজান্তেই ক্ষতি হচ্ছে লিভার, কিডনির।এখন বাজার জুড়ে দেদার বিকোচ্ছে লাল ডাই-তে চোবানো লিচু। একটু ভালো করে দেখলেই বোঝা যাবে সেই অপ্রাকৃতিক গাঢ় রঙ। লাল রঙের গামলায় ডুবিয়ে রেখে রঙ করা হচ্ছে লিচুগুলি। বাড়ি এনে ভাল করে রগড়ে ধুলেই উঠে যাচ্ছে রঙ।কেন এমন করা হচ্ছে?

```

হুগলির কোন্নগরের এক ফল বিক্রেতার কথায়, এমনিতে লিচুগুলি স্বাদে মিষ্টিই। কিন্তু রঙ একটু সবুজ-হলদেটে। তাছাড়া অনেক ফলচাষি লিচু পাকার আগেই তুলে নিচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই লালের পরিমাণ অনেক কম। সেটা দেখে ক্রেতারা আকৃষ্ট হন না। বিক্রি হয় না।সবাই চান সুন্দর লাল লিচু। সেই কারণেই ব্যবসায়ীদের একাংশ এমনটা করছেন। কতটা ক্ষতি হতে পারে এমন রঙ থেকে?সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করলেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ডা. সিদ্ধার্থ দত্ত। তিনি জানাচ্ছেন…

তাঁর কথায়-‘যে রঙে লিচু চুবিয়ে রাখা হয়, তার সব কটাই মেটাল অক্সাইড। কপার, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়ামের মতো ক্ষতিকর ধাতু থাকে এই রঙগুলিতে। এগুলি শরীরে গিয়ে সর্বনাশ ঘটাচ্ছে। অজান্তেই ক্ষতি হচ্ছে লিভার, কিডনির। মূলত তিন ধরনের ক্ষতিকর রং লিচুতে মেশানো হয়। রেড অক্সাইড, রোডামাইন বি আর কঙ্গো রেড।’এক গবেষণায়, ২৮ দিন ধরে ইঁদুরকে কঙ্গো রেড বা রোডামাইন বি দেওয়া হয়। দেখা যায়, এটুকু সময়ের মধ্যেই লিভারের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে এই রাসায়নিক।

```

ফলে বুঝতেই পারছেন, কতটা ক্ষতিকর এই রঙে চোবানো লিচু।অনুমোদিত রঙসবজি, ফল লাল রং করতে সীমিত পরিমাণ(প্রতি কেজিতে চার mg) carmoisine erythrosine ব্যবহার করা অনুমোদিত। কিন্তু এই রঙ বেশ দামি। তাছাড়া সচেনতার অভাবও রয়েছে। সেই কারণেই অনেকে রেড অক্সাইড, রোডামাইন বি, কঙ্গো রেডের মতো রঙ ব্যবহার করছেন। উপায়?ব্যবসায়ী ও ক্রেতা- উভয়কেই সচেতন হতে হবে। রঙ করা লিচু ভালো করে দেখলেই বোঝা যাবে। সন্দেহ হলেই সেটা কেনা এড়িয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।