মুক্তির চার দিনের মধ্যেই ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর বক্স অফিস কালেকশন চমকে দিয়েছে সকলকে। ছবি পরিচালনায় বিবেক আগ্নিহোত্রী। ছবিতে অভিনয় করছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, পল্লবী যোশী, দর্শন কুমার, ভাষা সুম্বালি, চিন্ময় মন্ডলেকর, পুনীত ইসার, মৃণাল কুলকার্নি, অতুল শ্রীবাস্তব এবং পৃথ্বীরাজ সারনায়েক। ছবিটির বিষয়বস্তু কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। ১৯৯০ সালে তাঁদের কাশ্মীর ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনার ইতিহাসের উপরেই তৈরি হয়েছে এই ছবি। মুক্তির চার দিন পরেও বক্স অফিসের দৌড়ে চরম সফল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। তবে চতুর্থ দিনের ইনকাম চমকে দিয়েছে সকলকে। চতুর্থ দিনে…
ট্রেড আ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ মঙ্গলবার টুইটে জানিয়েছেন, ‘সোমবার গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ ছবি ক্র্যাশ/পতনের সময়, তবে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিজের রেকর্ড বজায় রেখেছে। এ দিন সূর্যের মতোই উজ্জ্বল সে। রবিবারের মতোই খানিকটা সোমবারও। স্ম্যাশ-হিট… অবশ্যই ব্লকবাস্টার হতে চলেছে… শুক্রবার ৩.৫৫ কোটি… শনিবার ৮.৫০ কোটি… রবিবার ১৫.১০ কোটি…এবং চতুর্থ দিন অর্থাৎ সোমবার ১৫.০৫ কোটি যা এক বিশাল রেকর্ড… ভারতে মোট আয় ৪২.২০ কোটি।’যেখানে দেখা যাচ্ছে যে প্রত্যেক দিনের ইনকাম তার আগের দিনের থেকে অনেক অনেক বেশি। অর্থাৎ প্রত্যেকদিন আরো বড়ো হিট হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করছে কাশ্মীর ফাইলস।
BoxOfficeIndia.com এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিল্মটি উত্তর ভারত এবং গুজরাট/সৌরাষ্ট্র সবথেকে বেশি ব্যবসা করছে। মাল্টিপ্লেক্স এবং একক পর্দা উভয়ের থেকেই এই অঞ্চলে ভালো ব্যবসা করছে। হিন্দুস্তান টাইমসের রিভিউ অনুযায়ী, ‘ট্র্যাজেডি সম্পর্কে বিবেক অগ্নিহোত্রীর গবেষণা ছবির প্রতিটি দৃশ্যে ফুটে উঠেছে। যদিও ছবিটি প্রায় তিন ঘণ্টার, সেক্ষেত্রে বিশেষ কোনও প্রয়োজনীয়তা ছিল না। নন-লিনিয়ার চিত্রনাট্য আপনাকে কোনও একটি চরিত্রের গল্পে ডুবে যেতে দেয় না।
পুষ্কর এবং তার পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছিল সেইটা ভেবে আপনি যখন ভয় পাচ্ছেন, ঠিক একই সময় কৃষ্ণ এবং তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সত্যতা খুঁজে পাওয়ার জন্য অনুসন্ধান শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে আপনি বর্তমানে ফিরে আসেন। কৃষ্ণের যাত্রা এবং তার পরিবারের সঙ্গে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে সত্য খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে গল্পে আরও দৃঢ় বিশ্বাস এবং স্বচ্ছতার প্রয়োজন ছিল।’
ছবির প্রযোজনায় তেজ নারায়ণ আগারওয়াল, অভিষেক আগারওয়াল, পল্লবী যোশী এবং বিবেক আগ্নিহোত্রী। এখনো পর্যন্ত ছবিটি সারা ভারতজুড়ে একটি সুপারহিট ছবি হিসেবে উঠে এসেছে। বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ছবিটি দেখেছেন এবং তার প্রশংসা করেছেন।