বৃশ্চিক রাশির বার্ষিক রাশিফল

আপনার এই বছর:

এই বছর আগের বছরের তুলনায় একটু ভাল হতে পারে, তবে খুব ভাল নয়। এই  বছরের শেষের দিকে একটু ভাল উন্নতির যোগ আছে কিন্তু শারীরিক ভাবে একটু কষ্ট পেতে হতে পারে। নেত্ররোগ, শিরঃপীড়া, বাতরোগ, আঘাতপ্রাপ্তি, রক্তদুষ্টি, অজীর্ণ প্রভৃতি জাতকের দৈহিক ক্লেশের প্রধান কারণ হবে। পিত্তধার, জননেন্দ্রিয় ঘটিত ক্লেশভোগ চরম আকার ধারণ করবে পারে। ধনোপার্জন খারাপ হবে না। কিন্তু ব্যয়াধিক্য বশত সঞ্চয় হবে অল্প। অসৎ পথে ধনাগমের সুযোগ আসতে পারে। তবে ওই সুযোগ গ্রহণ করলে বিপদ ঘটবে।

সমগ্র বৎসর, বিশেষত প্রথমার্ধে কনিষ্ঠভ্রাতার স্বাস্থ্যের সংশয়কারী অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। জাতকের নিজের মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়া ও কারাদণ্ড ভোগের যোগ রয়েছে। পত্নীভাগ পূর্বাপেক্ষা শুভ। এ বৎসর পত্নীর শরীরের উন্নতি হবে এবং পত্নীর ভাগ্যে এ বৎসর ধনলাভ যোগ বিদ্যমান। সন্তানদের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে না। তাদের লেখাপড়া ও পরীক্ষাফল আশাপ্রদ নয়। একটি সন্তানের (সম্ভবত প্রথম সন্তানের) অনুচিত আচরণ বংশের সম্মান নষ্ট করতে পারে। বাহিরে ব্যবসায় বেশি লাভবান হবেন না।

```

শত্রুর  চক্রান্তে মানহানি, ধনসম্পদ নষ্ট, গৃহে অগ্নিদাহ প্রভৃতি ঘটলে আশ্চর্য হবেন না। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে অধিক বিপদ ঘটবে বলে মনে হয়। বন্ধুর দ্বারা উপকারের আশা কম। কোনও এক নিকট বন্ধুর  বিশ্বাসঘাতকতায় চরম বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। পিতার শারীরিক অবস্থার সামান্য অবনতি ঘটলেও তাঁর অকালমৃত্যুর আশঙ্কা নেই। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্য সম্পদ লাভে বঞ্চিত হতে পারেন। ধর্মাচরণে আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে পারে, কিন্তু ধৈর্যের অভাব ও নানাবিধ সমস্যার জন্য নিবিষ্ট মনে ধর্মাচরণ সবসময় সম্ভব হবে না।


অর্থ: আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। খরচ বাড়তে পারে। তাই, সঞ্চয় একটু কম হবে। ব্যবসায় পাওনা অর্থের ব্যাপারে চাপ বাড়তে পারে। চাকরিস্থলে টাকাপয়সা আটকে যেতে পারে। 

```


পরিবার: পরিবারে সকলের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে একটু চিন্তা বাড়তে পারে। মায়ের সঙ্গে কোনও ছোট কারণে এ বছর বিবাদ বাড়তে পারে। ভাইয়ে ভাইয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।   


সম্পর্ক: গোপন শত্রুর কারণে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। বাড়িতে সকলের সঙ্গে একটু বুঝে চলতে হবে। কারণ, বছরের মধ্য ভাগে বিবাদ বাধার সম্ভাবনা প্রবল। বাইরের কোনও সম্পর্কের ব্যাপারে চাপ বাড়তে পারে।


জীবিকা: জীবিকার ব্যাপারে কোনও রকমের চিন্তা বাড়তে পারে। ব্যবসার দিকে চাপ বৃদ্ধি। চাকরিস্থলে বিবাদ বাড়তে পারে। যতই চাপ বাড়ুক, ঋণ না করাই শ্রেয়। শেয়ারে একটু বাধা আসতে পারে।