এখন পর্যন্ত, যদি কোনও ফিটনেস সমস্যা না থাকে তাহলে ভারত এ-এর অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য নিশ্চিত মুশির। যারা তাঁকে চেনেন তাদের বিশ্বাস তাঁর মধ্যে বড় ম্যাচে বড় রান করার প্রতিভা আছে। যেটি ভবিষ্যতে তাঁকে বাড়তি সুবিধা দেব। দলীপ ট্রফিতে যখন ভারত বি দল একসময় ৯৪/৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তখন মুশির যেই ভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং ম্যাচ জেতার পিছনে অবদান রাখেন তা প্রশংসনীয়। তিনি নিজেই ৩৭৩ বল খেলেছেন, এর থেকে বোঝা যায় তাঁর মানসিকতা কত দৃঢ়। অন্যদিকে, সুথারকে ম্যানেজমেন্ট চাইছে দলে নিয়মিত খেলাতে। যাতে জাদেজার পর তিনি অক্ষয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় স্পিনার হিসাবে দলে জায়গা করে নেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট মরশুমে স্বপ্নের ছন্দে রয়েছেন মুশির, এবার তিনি ভারত এ দলের হয়ে শ্যাডো ট্যুরে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে প্রস্তুত। রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে ডাবল সেঞ্চুরি এবং ফাইনালে সেঞ্চুরি করার পর, ভারত এ-এর বিরুদ্ধে ভারত বি-এর হয়ে তাঁর ১৮১ রানের ইনিংস মুগ্ধ করেছে নির্বাচকদের। অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ভারত এ দল দলীপ ট্রফি এবং ইরানি কাপের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে বাছাই করা হবে। রেস্ট অফ ইন্ডিয়া এবং রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মুম্বইয়ের মধ্যে ইরানি কাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে অক্টোবরের শুরুতে।
যদিও কয়েকজন টেস্ট বিশেষজ্ঞ এবং পেসারকে আগেই অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর কথা ভাবছে বিসিসিআই। মুশিরের পাশাপাশি রাজস্থানের বাঁ-হাতি স্পিনার মানব সুথারও সেই সফরের যাবেন। মানব ইতিমধ্যেই বেশ নজর করেছেন। বিষেশজ্ঞরা মনে করছেন রবীন্দ্র জাদেজা ও অক্ষয় প্যাটেলের পরে সেরা বাঁহাতি স্পিনার তিনি।
ভালো খেলার পুরস্কার পেতে চলেছেন মুশির খান। নভেম্বরে ভারত অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে। তার আগে ভারতীয় এ দল ‘শ্যাডো ট্যুরে’ যাবে সেখানে। খেলবে ৩টি ৪ দিবসীয় টেস্ট ম্যাচ। লাগাতার ভালো পারফরম্যান্সের ফলস্বরূপ সেই দলে জায়গা করে নিতে চলেছেন মুশির। ১৯ বছরের তরুণ ব্যাটসম্যান রঞ্জি ট্রফির পাশাপাশি দলীপ ট্রফিতেও অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন, মন জয় করেছেন নির্বাচকদের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের আগে এটি তাঁর কাছে অনেক বড় সুযোগ। যদি ভারতীয় এ দলের হয়ে তিনি ভালো খেলতে পারেন তবে প্রথম দলে খেলার সুযোগ হাতছানি দিতে পারে।
রোহিতের ওই অনবদ্য ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি হেড ফাইনালে ১২০ বলে ১৩৭ রান করেন। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও পান। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ট্রাভিস হেড বলেন, “আমার মতে রোহিতের ক্যাচ নেওয়াটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তাই আমার মনে হয় এই মুহূর্তে রোহিতই হল ‘বিশ্বের সবচেয়ে আনলাকি মানুষ।’ আমরা ফিল্ডিংয়ে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। আর তার ফল হাতেনাতে পেলামও।”
আসলে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের ইনিংস চলাকালীন ছন্দে ছিলেন রোহিত শর্মা। এরপর ১০তম ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের এক ডেলিভারি তুলে মারতে গিয়ে আউট হন রোহিত।বল আকাশের দিকে উঠতেই কভারের দিকে দৌড়ে যান ট্রাভিস হেড। সামনের দিকে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ তালুবন্দি করেন। আর রোহিত আউট হওয়ার পর ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।