এমনিতেই পাহাড় আমাদের মধ্যে অনেকেরই কাছে রোমাঞ্চ আস্বাদনের কেন্দ্র। তবে সেই পাহাড়েরও যদি থাকে কোনো অদ্ভুত, অকল্পনীয় গল্প তাহলে কৌতূহল যে আরো বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই গল্পটি তেমনই রহস্য-রোমাঞ্চে পরিপূর্ণ। তবে আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা সেটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার। পাহাড়ের গা বেয়ে যে ঝর্ণা বা জলপ্রপাত বয়ে যায় তা অজানা নয়। কিন্তু এখানে তা হচ্ছে না। এতেই বেড়েছে মানুষের কৌতূহল।
ক্রমাগত বরফ থেকে ঝরছে রক্ত। সত্যিকারেরই এমনটাই ঘটেছে। জানতে চান কোথায় সেই পাহাড়? এই পাহাড়টি অবস্থিত পৃথিবীর একেবারে দক্ষিণ মেরু অর্থাৎ আন্টার্কটিকাতে। একেই জায়গাটি দুর্গম তার উপর তার এমন অপার রহস্যই সেই জায়গার প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়াচ্ছে। তবে এখানে পাহাড় নয়, বরফ থেকে ঝরে পড়ছে রক্তের ধারা।
তার উপর অবাক করছে আর একটি বিষয়। সেখানে তাপমাত্রা এতো কম হলেও তাতে জমে যায়নি রক্তের সেই ধারা। প্রশ্ন উঠছে যে যদি সত্যিকারের রক্তই ঝরে পড়ে তাহলে সেক্ষেত্রে কার রক্ত সেটি? মানুষ না প্রাণীর? এবার বাকিটা পড়ুন। ২০১১-এ একদল অভিযাত্রী এই পাহাড়ের রহস্য উদ্ভাবন করেন যেখানে তারা দেখেন যে এই অদ্ভুত জলপ্রপাতটি বাস্তবেই বিদ্যমান। আনুমানিক ২০ লক্ষ বছর আগে নাকি এর সৃষ্টি হয়েছে। এর উৎসস্থল টমাস গ্লেসিয়া। এর গন্ধ শুঁকলেও…..
গন্ধ শুঁকলেও নাকি রক্তের মতোই গন্ধ পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে যে, এই জলে মিশেছে আয়রন অক্সিডাইস। জলটি লবনাক্ত হওয়ায় তার সঙ্গে বিক্রিয়ায় এমন জলের ধারা বইছে যা দেখতে রক্তের মতো। সালফার আর আয়রন রয়েছে এতে, এমনটাই মত বিজ্ঞানীদের। কিন্তু আরেকটিও প্রশ্ন উঠছে এই প্রসংঙ্গে। সেটি হলো যে জনমানবশূন্য এই অঞ্চলে এতো লৌহ আকরিক এল কোথা থেকে?
ব্যাখ্যা বা যুক্তি যাই থাকুক না কেন, জলপ্রপাতটি বাস্তবে দেখতে যে ভয়ংকর সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। মনে হবে রক্তের সমুদ্র এটি। আবার এর পাশে বেশ কিছু ভয়ংকর জলজ ও স্থলজ প্রাণীর উপস্থিতি জায়গাটিকে আরো রহস্যময় ও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। তবে খুব বেশি মানুষ এই জায়গায় যেতে পারে না।