২০২২ সালের বিশ্বকাপ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এবং রীতিমতো বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হেরে মন খারাপ ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের তার মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট দল পৌঁছে গেছে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলতে তবে ভারতের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য আরও একটি খুশির খবর হল ভারতের মাটিতে আবার সিরিজ খেলতে আসছে অস্ট্রেলিয়া। একটি কঠিনতম সিরিজের সাক্ষী থাকতে চলেছে ক্রিকেট ভক্তরা কারণ ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া কোন দল এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি হবে না।
। ২০২৩ সালে বর্ডার-গাভাসকর টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারতে আসবে অস্ট্রেলিয়া। সেই সিরিজে ভারতের বিরুদ্ধে চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। সেখানেই একটি টেস্ট দিল্লির পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি আমদাবাদ, ধরমশালা এবং চেন্নাইতে খেলা হতে পারে বাকি টেস্ট ম্যাচ দুটি।এই সিরিজ ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। গতবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালিস্ট ভারতের দ্বিতীয় ডব্লুটিসিতে এটাই শেষ টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজ জিতলেই তবে তাঁদের সামনে সুযোগ থাকবে এবারের ফাইনালে খেলার।
তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কোয়ালিফাই করাটা ভারতের কাছে খুব একটা সহজ কাজ হবে না। এখন পর্যন্ত ক্রমতালিকার যা পরিস্থিতি তাতে করে অজিদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ভারতকে ৪-০ ফলে জিততে হতে পারে। রোহিত শর্মার বাহিনীর কাছে যা নিঃসন্দেহে কঠিন কাজ হতে চলেছে।দীর্ঘ ৫ বছর বাদে দিল্লির ২২ গজ ফের সাক্ষী থাকতে চলেছে আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচের। প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দলের ভারত সফরেই দিল্লিতে বসতে পারে টেস্ট ম্যাচের আসর।
সাধারণত বর্ডার-গাভারকর ট্রফিতে চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়। তবে ২০২৪ সাল থেকে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে। উল্লেখ্য বিসিসিআইয়ের রোটেশন পলিশিতে সুযোগ থাকলেও করোনার কারণে দিল্লি আগের দুই বছরে কোন টেস্ট আয়োজনের দায়িত্ব পায়নি। ২০১৭ সালে তাঁরা শেষবার টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করেছিল। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সেবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট আয়োজন করেছিল তাঁরা।
বিসিসিআইয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন ‘এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে করে চার ম্যাচের মধ্যে দিল্লিতে দ্বিতীয় ম্যাচটি হওয়ার কথা রয়েছে। ধরমশালাতে ট্যুরস এন্ড ফিক্সচার কমিটির বৈঠকের পরেই এই ম্যাচগুলোর তারিখ জানা যাবে। ধরমশালাতে সম্ভবত তৃতীয় টেস্টের আসর বসতে চলেছে।’ তবে ভারত চাইবে এই সিরিজে জয়লাভ করে সোজাসুজি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে।