বিয়ে নয়!শ্রদ্ধাকে খুন করার হার হিম করা কারণ ফাঁস করলো আফতাব!চমকে গেলেন নেটিজেনরা

একটা মর্মান্তিক খুন যাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছে সারা দেশ। পরিস্থিতি এরকম যে এখনো পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ড। শ্রদ্ধা ওয়াকারকে যে অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাও খুঁজে পায়নি পুলিশ। এবিষয়ে শ্রদ্ধার বয়ফ্রেন্ড অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনও লাভ হয়নি। আফতাব প্রথমদিকে পুলিশকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছিল। সে বলেছিল ২২ মে শ্রদ্ধা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। শুধু ফোনটা নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু যখন সে পুরো গল্পটা শোনায় কখন কিভাবে কেন ফোনটা করেছে তা শুনে শিহরিত হয়ে যায় নেটিজেনরা।

আফতাব এতদিন ধরে বসে বসে সুন্দর করে প্ল্যান করেছিল যে কিভাবে পুলিশকে বোকা বানাবে, আফতাব জানিয়েছিল যে মেয়েটি নাকি ঝগড়া করে ফোন নিয়ে বেরিয়ে যায়, পরে অবশ্য পুলিশ ফোনের রেকর্ড ও লোকেশন খতিয়ে দেখে বুঝতে পারে সেটি ওই এলাকাতেই ছিল, অর্থাৎ ফোন সেখান থেকে কখনোই যায়নি। তার মানে আফতাব মিথ্যে কথা বলেছে। এরপর আফতাব ভেঙে পড়ে। পুলিশকে শ্রদ্ধা খুনের কথা জানায় সে।পুলিশি জেরায় আফতাব জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ৮ই মে শ্রদ্ধাকে খুন করবে ভেবেছিল সে। তবে সেদিন শ্রদ্ধা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল। যা দেখে সেদিন আর খুন করেনি আফতাব। ১০ দিন নিজের খুন করার ইচ্ছে সে চেপে রেখেছিল। শেষে ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল আফতাব। কিন্তু কেন ? একটা নিষ্পাপ জীবনকে শেষ করে দিল শুধুই কি বিয়ের চাপ দিচ্ছিল বলে?

```

জানা যায়, ৮ মে আফতাব এবং শ্রদ্ধার মধ্যে বিশাল ঝামেলা হয়। সে দিনই প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করবে বলে মনে মনে ঠিক করে ফেলেছিল আফতাব। তবে ঝগড়া চলাকালীন শ্রদ্ধা আচমকাই আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। এরপর আর সেদিন শ্রদ্ধাকে খুন করেনি আফতাব। এরপর ১৮ মে শ্বাসরুদ্ধ করে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। জেরায় আফতাব জানিয়েছে, শ্রদ্ধা তার ওপর বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু এটাই কি আসল কারণ? না এটাই একমাত্র কারণ নয় এর বাইরে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর জীবন রয়েছে আফতাব নামক এই যুবকটির।

সাধারণভাবে যে ব্যাপারটা হয় যে কোন যুবক যদি ডেটিং অ্যাপ থেকে কোন যুবতীর প্রেমে পড়েন সে ক্ষেত্রে তারা সম্পর্কে এসে গেলে আর ওই ডেটিং অ্যাপ এর প্রয়োজন হয় না। পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পেরেছে, শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্পর্কে থাকা সত্ত্বেও ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে চলছিল আফতাব। অর্থাৎ বিয়ের জন্য চাপ শুধুমাত্র কারণ নয় আফতাবের যে অন্য কোন সম্পর্কে জড়িয়েছিল সেটাও একটা বিষয়। তবে ১৮ মে বিয়ে বা পরকীয়া নিয়ে কোনও ঝামেলাই হয়নি দু’জনের মধ্যে। সেদিন সম্পূর্ণ আলাদা বিষয় নিয়ে ঝামেলা বেঁধেছিল দু’জনের। আফতাব ও শ্রদ্ধার মধ্যে বাড়ির যাবতীয় খরচ কে বহন করবে, তা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়েছিল ১৮ মে। এরপরই শ্বাসরুদ্ধ করে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। পরে প্রেমিকার দেহের ৩৫ টুকরো করে আফতাব। ১৮ দিন ধরে সেই দেহের টুকরোগুলি বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসে আফতাব।

```

পুলিশ জানিয়েছে, হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছিল আফতাব। কয়েক বছর আগে শেফ হিসেবেও কাজ করত। কীভাবে মাংস কাটতে হবে, তা নিয়ে দু’সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। যে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা দিয়ে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো-টুকরো করেছিল আফতাব। পুলিশ জানিয়েছে, দেহের টুকরো ফ্রিজে রেখেছিল আফতাব।