কলকাতা নাইট রাইডার্স এর জন্য ২০২৪ এর আইপিএল সিজেনটা দুর্দান্ত চলছে, লাগাতার একের পর এক ম্যাচে জিতেই চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স, কোন দলকে রেহাই দেয়নি গৌতম গম্ভীরের তার প্ল্যান দিয়ে তৈরি শ্রেয়স এর বাহিনী। এখনো পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংস এর বিরুদ্ধে ম্যাচ ছাড়া অন্য কোন ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স কে খুব একটা দুর্বল দল বলে মনে হয়নি এমনকি রাজস্থানের বিরুদ্ধেও কলকাতার পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। আর এই মুহূর্তেই এলো বড় খবর।
কলকাতা নাইট রাইডার্স দল হিসেবে যতটা ভালো পারফরম্যান্স করেছে সেই ক্ষেত্রে তার জন্য অনেকটা দায়ী কেকেআরের বেশ কিছু ক্রিকেটার, কোনো একজন ক্রিকেটারের জন্য কলকাতা নাইট রাইডার্স কিন্তু এতটা ভালো পারফর্ম করছে না, পুরোটাই টিম গেম হিসেবে চলছে। কোনদিন সল্ট ভালো খেলছেন তো আবার কোনদিন নারিন আবার কখনো রাসেল।
বল হাতে স্টার্কের দিন খারাপ গেলে সেই দিনের মেকআপ করে দিচ্ছেন নারিন, আবার নারীর ভালো বল করলে সেদিনে ভালো ব্যাট করে দিচ্ছেন সল্ট। সব মিলিয়ে কেকেআর বেশ দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে কিন্তু তার মধ্যেই বিশ্বকাপ দলে খেলবেন না বলে জানিয়ে দিলেন কে কে আর তারকা। কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের একটা লম্বার সময় ধরে একজন বড় অ্যাসেট হয়ে রয়েছেন সুনীল নারিন, সেই সুনিল নারিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন বেশ কিছুটা সময় আগে, তার কারণ অবশ্যই তার পারফরমেন্স, একটা লম্বা সময় ধরে তার থেকে খুব একটা ভালো পারফরমেন্স দেখা যাচ্ছে না বিশ্ব ক্রিকেটের লিগ গুলিতে।
এমনকি আইপিএল ২০২৪ শুরু হবার আগেও তাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল যে আদৌ দলে তাকে রাখা উচিত কিনা। কিন্তু তার সত্বেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে তিনি কামব্যাক করেছেন। সুনীল নারিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যেহেতু দিনে এত ভালো পারফরম্যান্স করছেন ব্যাট এবং বল দুই দিক থেকে এবং কোন ক্রিকেটার তার সামনে বাধা হতে পারছে না এই আইপিএলে। তাহলে অবশ্যই সুনীল নারিনের নিজের দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা উচিত কারণ প্রত্যেক ক্রিকেটারের স্বপ্ন বিশ্বকাপ খেলা।
তার উত্তরে সুনীল নারিন জানিয়েছেন যে তার আর দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলার কোন ইচ্ছা নেই। যদিও এর পিছনে কারণ হিসেবে সেভাবে তিনি কিছু জানাননি। তবে কিছুদিন আগে সুনীল নারিন এবং রাসেল জানিয়েছিলেন যে কলকাতার নাইট রাইডার্স এর ফ্রাঞ্চাইজি যেভাবে তাদেরকে দেখাশোনা করেছে তা কখনো তাদের নিজেদের দেশের ক্রিকেট বোর্ডও করেনি।
সব মিলিয়ে সুনীল নারিনকে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতো কারন উইন্ডিজের কাছে এই মুহূর্তে সেই ধরনের কোন স্পিনার নেই।