ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংকে একা হাতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খুব সহজে জয়লাভ করে নিয়েছিল ভারত

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খুব সহজে জয়লাভ করে নিয়েছিল ভারত। যেটা দেখে এরকমটাই মনে করা হচ্ছিল যে এই সিরিজে ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে দেবে, কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে অদ্ভুত ভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে পরাজিত হতে হয় ভারতীয় দলকে। দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজয়ের পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে কি আবার রোহিত বিরাটদের তৃতীয় ম্যাচে খেলানো হবে কারণ সিরিজটা তো আর হারতে দেওয়া যায় না, অথচ তাদেরকে না নিয়ে যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় দল সেটাই প্রমাণ করলেন ভারতের যুব তারকারা, বিশেষ করে ভারতীয় দলের সবথেকে অবহেলিত ক্রিকেটার সঞ্জু স্যামসান। সাথেই গড়লেন অনবদ্য রেকর্ড।

ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় ম্যাচের টসে জয় লাভ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং তারা প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাট করতে নেমে শুভমান গিল এবং ঈশান কিষন প্রথম থেকেই অ্যাটেকিং ক্রিকেট খেলা শুরু করে এবং একটা বড় পার্টনারশিপ তারা গড়ে তোলে। প্রথমে ভারতের এই দুই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি ওপেনিং পার্টনারশিপ দেয় যা অন্যতম একটি রেকর্ড এই যুব ক্রিকেটারদের জন্য, তারপরেও তাদের ব্যাটিং তাণ্ডব চলতে থাকে, ভারতের দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান নিজেদের অর্ধ শতরান সম্পন্ন করলেও 143 রানের মাথায় ভারতীয় দলের প্রথম উইকেট পড়ে, তবে ব্যাট হাতে এদিন তিন নম্বরে আসা ঋতুরাজ ব্যর্থ হয়েছে। মাত্র আট রানে তিনি ফিরে যান প্যাভিলিয়নে আর তারপরেই ব্যাট করতে আসেন সঞ্জু যিনি রীতিমতো ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান এবং ওডিআই ম্যাচে টি-টোয়েন্টি খেলেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের টার্গেট করেই এসেছিলেন সঞ্জু, প্রথম থেকেই একের পর এক বল তিনি মাঠের বাইরে পাঠাতে থাকেন, লম্বা সময় পর তিনি ভারতীয় দলে আবার প্রত্যাবর্তন করেছেন এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো তিনি ম্যাচ পেয়েছেন অথচ প্রথম ম্যাচে ফ্লপ হবার পরেই সমালোচনা হয়েছে তাকে নিয়ে আর তার একটা যোগ্য জবাব তিনি দিলেন। মাত্র ৪০ বলে অর্থ শতরান করা সঞ্জু স্যামসন এর চারের থেকে ছক্কা বেশি ছিল, যেমনটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হয়ে থাকে, নিজের ৫১ রানের ইনিংসে সঞ্জু স্যামসন দুটি চার মেরেছেন অথচ চারটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন।

যতক্ষণ তিনি পিচের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের রীতিমতো বল করা কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল যতক্ষণ সঞ্জু এক ধার থেকে টি-টোয়েন্টি খেলছিলেন অন্য পাশে খুব ধীরেসুস্থে বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যাটিং করেছেন শুভমান গিল। একদিক থেকে খুব দ্রুত রান এলে অন্যদিকে কিভাবে ব্যাট করতে হয় সেটাই যেন তিনি শিখিয়ে গেলেন। শুভমান গিল এবং ঈশান কিষনের ওপেনিং পার্টনারশিপ যেভাবে একটা ভিত তৈরি করে দেয় ভারতীয় দলের জন্য তার উপর দাঁড়িয়ে ভারতীয় দল যাতে একটা লম্বা স্কোর করতে পারে সেটার উপরেই সিলমোহর বসিয়ে দেয় সঞ্জুর ইনিংস।

দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজয়ের পর যে ভারতীয় দল এতটা শক্তিশালী ভাবে ফিরে আসবে এতটা এক্সপেক্টেশন হয়তো ভারতীয় দলের ক্রিকেট ভক্তরাও করেনি তবে সেটাই করে দেখিয়েছে ভারতের এই যুব ক্রিকেটার, পরাজয়ের পরেই রোহিত বিরাটদের আবারও তৃতীয় ম্যাচে খেলানো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে, তবে ভারতের এই যুবদল যেভাবে পারফর্ম করলো তাতে ভারতের ভবিষ্যৎ যে সুরক্ষিত হাতেই আছে তা পরিষ্কার।