এশিয়া কাপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান এবং শ্রীলংকা, এই ম্যাচে কি হতে চলেছে সেটা সবাই আগে থেকেই জানতো আর হলো ঠিক সে রকম, শ্রীলংকার দুরন্ত লড়াইয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করল পাকিস্তান। বিশেষ করে বলতে গেলে কুশল মেন্ডেস এর অনবদ্য ব্যাটিং ধ্বংস করে পাকিস্তানের বোলিং লাইন আপকে। আমাদের দেশে কি মেয়ে গুলার আছে বলে গর্ব করতে থাকা পাকিস্তান ২৫২ রান ডিফেন্ড করতে পারেনা তাও আবার ৪২ ওভারে।
প্রথমে ব্যাট করতে আসা পাকিস্তানের কোমর ভেঙে দেয় শ্রীলংকার বোলাররা ১৩০ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ, কোনরকমে কপাল জোরে মোঃ রিজওয়ান একটা ভালো ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে বিপদ থেকে বের করে নিয়ে আসে কিন্তু অনবদ্য শ্রীলংকা দলের বিরুদ্ধে তা যথেষ্ট ছিল না কোনোভাবেই। পাকিস্তানের ২৫২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে অনবদ্য ইংলিশ খেলে শ্রীলংকার একের পর এক ব্যাটসম্যান। বিশেষত কুসাল মেন্ডিস।
৯১ রানের একটা দুরন্ত ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে রীতিমতো এই ম্যাচ থেকে একা হাতে তিনি বের করে দেন, যখন মাত্র ৪২ রানের দরকার ছিল শ্রীলংকার এই ম্যাচে জয়লাভ করতে তখন দুর্ভাগ্যবশত একটি টপ এজ লেগে যায় এবং তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে বাধ্য হন, না হলে তিনি এই ম্যাচটা যে একা হাতেই শেষ করতেন সেই বিষয়টা রীতিমতো তিনি পরিষ্কার করেই দিয়েছিলেন। তার সাথে অনবদ্য একটি ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন সামারা ভিক্রমা। তবে তাদের আউট হবার পরে ভালো ব্যাটিং করেছিলেন আশালঙ্কা।
একের পর এক পরাজয় পাকিস্তান দলকে রীতিমতো নানা ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন করে দিচ্ছে যেখানে পাকিস্তানের ব্যাটিং বোলিং সবকিছুই ব্যর্থ। ভালো ব্যাটিং পিছে একের পর এক উইকেট পড়ে সমস্যার মধ্যে পড়ে পাকিস্তান তার পাশাপাশি, বল হাতে শ্রীলংকার উইকেট দ্বারা কোনভাবেই নিতে পারছিল না যেখানে তার আগের রাতেই শ্রীলঙ্কাকে নেস্তনাবুদ করেছিল ভারত।
অর্থাৎ শুধুমাত্র ১৫০ কিলোমিটারের বোলার থাকলে যে ম্যাচ জেতা যায় এই বিষয়টা যে সঠিক নয় সেটাই আরো একবার প্রমাণ করে দিল পাকিস্তান। কুশল মেন্ডেস এর এই অনবদ্য লড়াকু ইনিংসকে স্যালুট জানাচ্ছে সারা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তরা।