অনবদ্য বোলিং,জীবনের শেষ ম্যাচের ইতিহাস বললেন স্টুয়ার্ট ব্রড

২০১১ সালে শেষবার ওডিআই বিশ্বকাপ জেতে ভারত। এরপর ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। তারপর থেকে আর কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। শুধুই হতাশা দেখা দিয়েছে। ট্রফির কাছে গিয়েও জিততে পারেনি ভারত। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও জায়গা করে নেয় মেন ইন ব্লু। কিন্তু সেই একই অবস্থা হয়। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে ভারতকে।আইসিসির টুর্নামেন্টে ভারতের ব্যর্থতার জেরে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের। কোচ এবং অধিনায়ক পরিবর্তন করেও আইসিসির টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি ভারতীয় দল।যা নিয়ে সমালোচনা চলছেই।

এর মধ্যেই চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ভারতের মাটিতে বসছে ওডিআই বিশ্বকাপের আসর। আর এই বিশ্বকাপে ট্রফির খরা কাটাতে পারে কিনা ভারতীয় দল সেটাই এখন দেখার।তবে তার আগে এই মুহূর্তে ভারতীয় দল ক্যারিবিয়ান সফরে রয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা টেস্ট এবং ওডিআই সিরিজ জিতেছে। তবে ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হারতে হয় ভারতকে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে সমালোচনার ঝড় দেখা দেয়। তবে পরের ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে তোলে ভারত। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেই সব সমালোচকদের একহাত নেন তিনি।

অশ্বিন বলেন, ‘অনেকেই হতবাক হয়েছিলেন যে আমরা কীভাবে এমন একটি দলের কাছে হারলাম। যে দলটি এমনকী বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। অনেকেই মনে করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের একমাত্র কাজ বিশ্বকাপ জেতা। বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমরা নিজেদের ফেভারিট ভাবার প্রধান কারণ হল আইপিএল।’ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচ হারলেও তৃতীয় ওডিআইতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন ইশান কিষান (৭৭), শুভমন গিল (৮৫) এবং সঞ্জু স্যামসন (৫১)। ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫১ রান তোলে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫১ রানেই অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০ রানে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। কিন্তু এই ম্যাচেও ছিলেন না রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। কেন এই দুই ক্রিকেটারকে খেলানো হল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অশ্বিন। ভারতীয় দলের এই সিনিয়র ক্রিকেটার বলেন, ‘ওডিআই ম্যাচগুলি খুবই চাপের। শরীর ঠিক করতে কমপক্ষে দুই দিন সময় লাগে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম দুটি ম্যাচ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে খেলা হয়। সুতরাং, চোট-আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ইতিমধ্যেই এনসিএতে আমাদের অনেক খেলোয়াড় সুস্থ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ বিরতির পর ফিরেছেন বুমরাহ। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণও ফিরে এসেছে। সুতরাং, আমাদের অনেক চোট সমস্যা রয়েছে। মনে হচ্ছে কেন রোহিত-বিরাটকে খেলানো হয়নি তাঁর উত্তর পেয়েছে সাধারণ মানুষ।’

টেস্ট এবং ওডিআই সিরিজ শেষ হয়েছে। শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যদিও এই সিরিজে নেই বিরাট-রোহিতরা। হার্দিক দলের অধিনায়কত্ব পালন করবেন। এই ক্যারিবিয়ান সফরে টেস্ট এবং ওডিআইতে অভিষেক হয়েছে মুকেশ কুমারের। এছাড়াও একাধিক নতুন মুখ রয়েছে। অশ্বিন মনে করছেন এটাই সুযোগ নতুনদের প্রমাণ করার। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় দল এখন বিভিন্ন ক্রিকেটারদের দেখে নিচ্ছে। কারণ তারা জানে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারা কী কষ্ট পেয়েছিল। আমাদের রবীন্দ্র জাদেজা এবং বুমরাহ ছিল না। এবং আমাদের অনেক ফাস্ট বোলার ছিল না। তাই ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে আমরা বিভিন্ন বিকল্প চেষ্টা করছি। তবে তরুণদের কাছে এটা একটা সুযোগ নিজেকে প্রমাণ করার।’