আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের দামামা বেজে গিয়েছে। চূড়ান্ত পর্বে চলছে প্রস্তুতি। সব দল বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। স্টেডিয়ামগুলিও সেজে উঠছে নতুন রূপে। আইসিসি এবং বিসিসিআইয়ের কর্তারাও দেশের যেসব স্টেডিয়ামগুলিতে বিশ্বকাপের আসর বসবে, সেখানকার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে হাজির হচ্ছেন। সম্প্রতি কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ঘুরে গিয়েছে বিসিসিআই এবং আইসিসির প্রতিনিধি দল। ইডেনের প্রস্তুতির অগ্রগতি দেখে খুশি তারা। ফলে একটা স্পষ্ট হয়েছে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান দ্রুত ঘটতে চলেছে। বলা ভালো বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টের দামামা বেজে গিয়েছে।
এবার এই বিশ্বকাপের প্রহর গোনার উন্মাদনা আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য ১৮ জনের প্রথমিক দল ঘোষণা করেছে তারা। আর সেখানে দেখা যাচ্ছে এই দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব রয়েছে অজি পেসার প্যাট কামিন্সের কাঁধেই। কামিন্স ছাড়াও এই দলে হেভিওয়েটদের মধ্যে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (ফিট হলে) সহ আরও অনেকে। যদিও ম্যাক্সওয়েলের একটু চোট রয়েছে। তাই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও খেলবেন না তিনি।
এই ১৮ জনের দলকে খেলতে দেখা যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজে। বিশ্বকাপের আগে এই দলকে দেখে নিতে চাইছে অজি টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও এই দলে মিচেল স্টার্ক থাকলেও তিনি এখনও পুরোপুরি ফিট নন। রিহ্যাবে রয়েছেন। অজি বোর্ড মনে করছে কয়েকদিনের মধ্যেই ফিট হয়ে উঠবেন তিনি। তবে এই ১৮ জনের দলে সুযোগ পাননি মার্নাস ল্যাবুশান। ১৮ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করার পর অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক প্রধান জর্জ বেইলি বলেন, ‘আর দুই মাস পরই বিশ্বকাপ। তার আগে আমরা বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলব। ফলে এই ১৮ জনের দল আপাতত আগামী সিরিজ খেলবে। সেখান থেকেই সব মূল্যায়ন করা হবে। যদিও এই দলের অনেকেরই চোট আঘাত রয়েছে। ফলে আমরা আশাবাদী তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।’
এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই ১৮ জনের দলে কোন কোন অজি ক্রিকেটার সুযোগ পেলেন- ডেভিড ওয়ার্নার, ট্র্যাভিস হেড, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জোশ ইংলিস, অ্যালেক্স ক্যারি, মার্কাস স্টইনিস, মিচেল মার্শ, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যারন হার্ডি, শন অ্যাবট, অ্যাস্টন এগর, অ্যাডাম জাম্পা, তনবীর সাঙ্গা, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, জোশ হেজেলউড, ন্যাথন এলিস।
মার্ণাস লাভুসেনকে বাদ দিয়ে অস্ট্রেলিয়া যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা কতটা কার্যকর হবে সেটা একমাত্র সময় বলে দেবে।