মঙ্গল গ্রহে নাসার পারসিভারেন্স রোভারের দুরন্ত ল্যান্ডিং ভিডিও প্রকাশ নাসার

প্রথমবারের জন্য মঙ্গল গ্রহের ভিডিও দেখা গেল৷ যা দেখে উত্তেজনায় লোমকূপের রোম খাড়া হয়ে গেল বিজ্ঞানী থেকে সব মহলের৷ রোবটের পা যখন মার্সের মাটি ছুঁয়ে ফেলল তখন উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷

মাটিতে রোবটের পা যখন ছুঁল তখন ধুলোর ঝড় তৈরি হয়৷ জেজিরো ক্রেটারে (Jezero Crater) নিজের রকেট ব্যাকআপের সঙ্গে মাটি ছুঁয়ে ফেলে Perseverance rover৷মঙ্গল গ্রহে যখন পার্সিভিয়ারেন্সকে যখন পাঠানো হয়েছিল তাতে ক্যামেরা লাগানো ছিল৷ যার মধ্যে সাতটি ক্যামেরাকে রেকর্ডিং করতে দেখা গেছে৷লাল গ্রহের জমিতে আরও বেশি সমীক্ষা চালাতে এই ভিডিও রেকর্ডিংগুলি খুবই সাহায্য করবে।

পাশাপাশি এই ভিডিও ছবিকে আরও উন্নত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়াররা৷ যা মঙ্গল গ্রহকে আরও ভালোভাবে জানতে সাহায্য করবে৷ক্যালিফোর্নিয়ার Jet Propulsion Laboratory -র মাইক ওয়াটকিন্স জানিয়েছেন যা পরিষ্কার ভিডিও পাওয়া গেছে তা প্রমাণ করেছে এজেন্সি কত ভালো কাজ করেছে৷

তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন , ‘সৌরমন্ডলের সমস্ত যাত্রায় আমরা সকলকে আমাদের সঙ্গে নেব৷ শনির বলয়, ফিরে দেখা ব্লু ডট, অসাধারণ প্যানোরামা শুক্রগ্রহে মাটিতে৷এই প্রথমবার কোনও ভিডিও তৈরি হল শুক্রগ্রহের মাটিতে৷ যখন কোনও মহাকাশ়যান তার মাটি ছুঁল৷ ’তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘ওই যানে ভিডিও থেকে আমরা শিক্ষাগ্রহণ করব৷ এই পারফরম্যান্স দেখার পর৷ এর থেকে আমাদের যাত্রাপথের অনেকটা পাওয়া যাবে৷’এই ইভেন্টকে ক্যাপচার করার জন্য একাধিক ক্যামেরার ব্যবহার করা হয়েছিল৷

যা এই ধাক্কা খাওয়া সময়ের ছবিও সঠিক ভাবে তুলতে পেরেছে ৷ এতে স্পোর্টস ক্যামেরা রয়েছে এবং কোনও মডিফিকেশন করা হয়নি৷সুপারসনিক ুপ্যারশুট থেকে মুক্তির পর এই হার্ডওয়ার ইভেন্ট যাতে ঠিক করে ধরা যায় সেভাবেই ক্যামেরা পজিশন করা হয়েছিল৷ এই মহাকাশযানের ল্যান্ডিংয়ের সাত মিনিটের শেষ ৪ মিনিট ক্যাপচার করেছে এই ক্যামেরা৷ডেভ গ্রুয়েল আরও জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ৩০ গিগাবাইটের চেয়ে একটু বেশি তথ্য পাওয়া গেছে আর ২৩ হাজার ছবি এসেছে৷ যখন মহাকাশযান শুক্রগ্রহের মাটি ছুঁয়েছে৷ ’ ডেভ গ্রুয়েল এই ক্যামেরা টিমকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন৷