‘টানা ১০০ বল’পাকিস্তানের লজ্জার দিনে ঐতিহাসিক রেকর্ড রাশিদ খানের,বিশ্বের কোন বোলারের নেই!

নাহ, গতকাল আর পারেনি আফগানিস্তান। শারজায় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো হারানোর স্বাদ পেয়েছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে। কাল আফগানদের সামনে হাতছানি ছিল পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করার। কিন্তু শেষ ম্যাচটা তারা পাকিস্তানের কাছে হেরেছে ৬৬ রানে।আফগানিস্তান হারলেও অসাধারণ এক অর্জনে ভেসেছেন দলটির অধিনায়ক রশিদ খান। এ ম্যাচে বল হাতে নিয়ে দ্বিতীয় বলটি করে একটি অসাধারণ কীর্তি গড়েছেন তিনি।

এটি ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর বাউন্ডারি হজম না করা টানা ১০০তম বল।রশিদের বাউন্ডারিবিহীন বলের শুরু সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে। আবুধাবিতে আফগানদের ৫ উইকেটে জেতা সেই ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়েছিলেন রশিদ। দুটি করে চার ও ছয়ও খেয়েছেন। কিন্তু সেই ম্যাচে নিজের শেষ দুই বলে কোনো বাউন্ডারি দেননি।এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে রশিদের ৮ ওভারে কোনো বাউন্ডারি নিতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতেও ৮ ওভারে কোনো বাউন্ডারি দেননি আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার। তবে শেষ ম্যাচে…

পাকিস্তানের বিপক্ষে কাল সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে রশিদ ৪ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ৩১টি। চার খাননি, তবে তাঁর বলে দুটি ছয় মেরেছেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু এ দুটি ছয়ের আগেই টানা ১০০ বলে বাউন্ডারি না খাওয়ার কীর্তি গড়ে ফেলেছেন রশিদ। যেটা পরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬ বলে।

বাউন্ডারি না খাওয়া ১০০ বলে রশিদ ডট দিয়েছেন ৪৭টি। আর এই ১০০ বলে তিনি রান দিয়েছেন ৯৮। এ সময়ের মধ্যে উইকেট নিয়েছেন ৪টি। টানা ১০৬ বল বাউন্ডারি না খাওয়ার হিসাব করলে এই সময়ের মধ্যে রশিদের উইকেট আরও একটি বাড়বে। কাল পাকিস্তানের বিপক্ষে অসাধারণ এক গুগলিতে তিনি ফিরিয়েছেন আবদুল্লাহ শফিককে।

পাকিস্তানের মতো দলকে একটা টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারানো যথেষ্ট এটা প্রমাণ করার জন্য যে আফগানিস্তানের দল আসন্ন ৫০ ওভারে বিশ্বকাপেও ভালো পারফরম্যান্স করবে। অন্তত এমনটাই মনে করছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা শোয়েব আক্তার।