ব্যাট হাতে তাণ্ডব:টেস্টে T২০ খেলে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি দিয়ে ইতিহাস গড়লেন রোহিত !

দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতে হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কিন্তু খেলা শুরু হতেই বল হাতে দাপট দেখায় ভারতীয় বোলাররা বিশেষ করে মোঃ সিরাজ যিনি লাগাতার পাঁচটি উইকেট নিয়ে পুরো ম্যাচ কে ভারতের দিকে ঘুরিয়ে দেন।। ভারতের পক্ষে এই ম্যাচটা যেটা কঠিন মনে হচ্ছিল কারণ যেভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ লড়াই করছিল তাদের ম্যাচটি ড্র হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু যেভাবে সিরাজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাঁচটি উইকেট তুলে নিলেন এবং সামান্য কিছু রানের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বান্ডিল করে দিলেন। তাতে সুযোগ করে দিলেন রোহিত শর্মাকে টেস্ট ম্যাচে টি-টোয়েন্টি খেলার।

টি-টোয়েন্টি খেলার মুড নিয়ে নেমেছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, যার দৌলতে তীব্র চাপে পড়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, একের পর এক চার এবং ছয় দিয়ে রীতিমতো পিছনে ফেলে ভারতকে চালকের আসনে বসিয়ে দিল রোহিত শর্মা। রোহিত শর্মা অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেছেন এবং ভারতের রান তখন ৯৮ সেই মুহূর্তে রোহিত শর্মা আউট হয়ে গেছেন ৫৭ রানে, তার ইনিংসটি সাজানো ছিল পাঁচটি চার এবং তিনটি বিশাল ছক্কা দিয়ে।

রোহিতের এই অনবদ্য ইনিংস বিশ্ব ক্রিকেটে আরও একবার স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিল যে ভারতীয় দল ইংল্যান্ডের মতোই মারকুটে মানসিকতা নিয়েই খেলে এবং সুযোগ পেলেই ভারত দাপটের সাথে ক্রিকেট খেলবে। রোহিত শর্মার যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন জসওয়াল, অনবদ্য একটি ইনিংস তিনিও খেলেছেন রোহিতের সাথে।

সব মিলিয়ে ভারতীয় দল এই মুহূর্তে একটা বিশাল বড় লিড নিয়েছে এবং এগিয়ে চলেছে এই ম্যাচটিতে জয় লাভের জন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের থেকে ৩০০ রানের বেশি লিড দিয়ে দিয়েছে। এখন সময়ের অপেক্ষায় যে ভারতীয় দল কত রান পর্যন্ত গিয়ে তাদের ইনিংস ডিক্লেয়ার করবে। যেটা আশা করা যাচ্ছে ভারতীয় দল কমপক্ষে ৪৫০ রান লিড দিয়ে তবে ডিক্লেয়ার করবে।

পাশাপাশি রোহিত শর্মার এই অনবদ্য ইনিংস সমালোচকদের মুখেও একটা জবাব, এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে পাকিস্তানের মতো দল বরাবর জিম্বাবুয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত দলের বিরুদ্ধে নিজেদের ভালো প্লেয়ারদের পাঠিয়েছে যার দৌলতে বাবর এর মত প্লেয়াররা রান পেয়েছে এবং বিরাট রোহিতদের সাথে তুলনা করতে আসছে অথচ বিরাট রোহিতরা লম্বা সময় ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের মতো দলের সাথে ম্যাচ খেলে না, এই সমস্ত দলের বিরুদ্ধে ভারত দ্বিতীয় শ্রেণীর দল পাঠায়।