২০২৩ আইসিসি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে নেপালের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শাই হোপ একটি দুরন্ত সেঞ্চুরি করেছেন। এই সেঞ্চুরির সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেটের বেশ কিছু রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন শাই হোপ। যার মধ্যে রয়েছে বিরাট কোহলি ও বাবর আজমের বিশেষ রেকর্ড। এছাড়াও ২০২৩ আইসিসি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের সর্বোচ্চ স্কোরটিও নিজের নামে করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক। কোহলি বাবরদের ঐতিহাসিক রেকর্ডও ভেঙে ফেলেছেন তিনি।
শাই হোপ যখন ব্যাট করতে নামেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন ৯ রানে দুই উইকেট হারিয়েছিল। কাইল মায়ের্স ১ রান এবং জনসন চার্লস খাতা না খুলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন। হোপ প্রথমে ব্র্যান্ডন কিং-এর সঙ্গে ইনিংসে এগিয়ে নিয়ে যান এবং তারপর নিকোলাস পুরানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ক্যারিবিয়ান দলকে সমস্যা থেকে বের করে আনেন।এটি সামগ্রিকভাবে শাই হোপের ১৫তম ওডিআই সেঞ্চুরি। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ব্যাট হাতে এটি তার নবম শতরান। এইভাবে, শাই হোপ আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯ এর পর সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করার ক্ষেত্রে শীর্ষে পৌঁছেছেন। এ ব্যাপারে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন শাই হোপ। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে বাবরের ব্যাট থেকে মোট আটটি ওডিআই সেঞ্চুরি এসেছিল।
অন্যদিকে, এই বিষয়ে তিন নম্বরে রয়েছেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার ফখর জামান। তিনি করেছেন ছয়টি সেঞ্চুরি। পাঁচ সেঞ্চুরি নিয়ে চার নম্বরে আছেন আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির নম্বর এর পরে রয়েছে। তিনি ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে মোট পাঁচটি ওডিআই সেঞ্চুরি করেছেন। এই ক্ষেত্রে বিরাটের পরেই আছেন ভারতের শুভমন গিল। তিনি চারটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছেন।
বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শাই হোপ ওডিআই ক্রিকেটে তৃতীয় দ্রুততম ১৫ সেঞ্চুরি করার সঙ্গে সঙ্গে বিরাট কোহলির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নেপালের বিরুদ্ধে ১০৭ ডেলিভারিতে নিজের ১৫তম ওডিআই সেঞ্চুরি করলেন শাই হোপ। ১৫তম সেঞ্চুরি করতে হোপের ১০৫ ইনিংস লেগেছে। যেখানে বিরাট কোহলি ১০৬ ইনিংস খেলার পরে ১৫তম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন।এদিকে এখনও পর্যন্ত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের সর্বোচ্চ স্কোরটি নিজের নামে করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শাই হোপ।
২৯ বছর বয়সি তারকা নেপালের বিরুদ্ধে ১৩২(১২৯) রান করার পরে জিম্বাবোয়ের ক্রেইগ আরভিনকে পিছনে ফেললেন। ১৮ জুন ২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে আরভিন নেপালের বিরুদ্ধে ১২১*(১২৮) করেছিলেন।ম্যাচের কথা বললে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায়, যেখানে চতুর্থ উইকেট পড়ে ২৭১ রানে। ৯৪ বলে ১১৫ রান করে আউট হন নিকোলাস পুরান। পুরান মারেন ১০টি চার ও চারটি ছক্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। সেই কারণে তাদের এখন বাছাইপর্বে অংশ নিতে হয়েছে। তবে এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছেন ৩৩৯ রান।