দুর্ভাগ্য দ: আফ্রিকার:চোটে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন ১৫০কিমিতে বল করা দলের নাম্বার ১ বোলার !

বর্তমান মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে প্রত্যেক দলের কাছে সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে চোট। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এই সমস্যা এতটা বড় হয়ে দেখা দেয়নি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কয়েক মাস বা দু একটা সিরিজের মধ্যেই ফিরে আসতেন ক্রিকেটার তবে এখন পরিস্থিতি এরকম হয়ে দাঁড়িয়েছে যে চোট এমন হচ্ছে যে কোন কোন ক্রিকেটারের প্রায় এক বছর দু বছর মাঠের বাইরে কেটে যাচ্ছে। সম্প্রতি ভারতীয় দলের সাথেও এরকমটাই হয়েছিল যখন কে এল রাহুল, শ্রেয়স আইয়ার, বুমরহ তারা চোটের জন্য ভারতীয় দল থেকে একটা লম্বা সময় বাইরে ছিলেন আর এবার এরকম একটি ঘটনা ঘটে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে।

এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই যে দক্ষিণ আফ্রিকা এই বছরের বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার যদিও তাদের কপাল কখনোই সাপোর্ট করে না। যার কারণে দুর্দান্ত থেকে আরও দুর্দান্ত দল থাকা সত্ত্বেও তারা কখনোই বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে উঠতে পারেনি বিগত কয়েকটি বিশ্বকাপের কথা যদি ধরা হয়। বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত তারা জয় লাভও করতে পারেনি, এটাও তাদের কাছে একটা বড় সমস্যা। আর তার মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা দলের মেইন বোলার যিনি 2019 বিশ্বকাপে জোটের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন এবার ঠিক একইভাবে ২০২৩ বিশ্বকাপের আগেও চোটের জন্য ছিটকে গেলেন।

এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কোন বোলারের কথা এখানে বলা হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় বেশ কয়েকটি ভালো পেস বোলার থাকলেও তাদের মেইন বোলার যিনি একা হাতে ম্যাচের পরিস্থিতি পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন তিনি হলেন অনরিচ নকিয়া। তিনি দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন কিন্তু তার সত্বেও বিশ্বকাপ থেকে তাকে বাদ যেতে হচ্ছে শুধুমাত্র চোটের কারণে।

বিশ্বকাপ খেলার প্রত্যেক ক্রিকেটারের কাছে একটা স্বপ্ন এবং ছোটে ছিটকে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ব্যাপার আর সেটা যখন দলের মেইন বোলারের সাথে হয়, এর ফলে পুরো দলের উপর একটা বড় সমস্যা এসে পড়ে। ভারতীয় দল যেমন এই মুহূর্তে কোনোভাবেই বুমরাহ কে সারা বিশ্বকাপে খেলা ভাবতেই পারে না, ঠিক সেরকমই পরিস্থিতি কিছুটা হল দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে।

নিউজিল্যান্ড ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন বেশ কিছুদিন আগে চোটের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিশ্রামে ছিলেন তবে বিশ্বকাপের আগে তিনি পুনরায় নিজের চোট সারাতে পেরেছেন এবং নিউজিল্যান্ড দলে প্রত্যাবর্তন করেছেন।

সব মিলিয়ে বর্তমান মুহূর্তে চোট সমস্যা একটা বড় রকমের প্রবলেম হয়ে দাঁড়িয়েছে সমস্ত দলগুলোর জন্য। সমস্ত দলের কোন না কোন গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার চোটের জন্য বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন।