সূর্যের আগুনে ভস্মিভূত হয়েছে নিউজিল্যান্ড। সূর্যের ব্যাটিংয়ের সামনে রীতিমতো ফিকে পড়ে যায় আজ নিউজিল্যান্ডের বোলিং। তিনি যে একাই ১১ জনের সমান হতে পারেন, সেই প্রমাণ একাধিকবার দিয়েছেন। রবিবার নিউজিল্যান্ডের (India vs New Zealand) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫১ বলে করলেন ১১১ রান করেন তিনি। মারেন ১১ চার। সঙ্গে হাঁকান ৭ ছক্কা। আর সূর্য কুমার যাদবের এই অদ্ভুত ইনিংসে সামিল ছিল এমন কয়েকটি শট যা রীতিমত মিস্টার ৩৬০ ছাড়া অন্য কেউ খেলতে পারে না। এমনকি সূর্যের সেই সমস্ত শট দেখে অভিভূত হয়ে বিরাট কোহলি লেখেন এটা ভিডিও গেম চলছে।
পাশাপাশি সূর্য যে শতরান করেন, তা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় ব্যাটারদের ১১ তম শতরান। সূর্যের এই অনবদ্য ইনিংসের দৌলতে ভারত ১৯১ রানের একটা বিশাল টার্গেট দেয়। সেইসঙ্গে প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে একটি ক্যালেন্ডার বর্ষে ১,১০০ রান পূরণ করেন। চলতি ক্যালেন্ডার বর্ষে ১১ অর্ধশতরানও করেন সূর্য।উল্লেখ্য, বৃষ্টির জন্য প্রথম টি-টোয়েন্টি ভেস্তে যাওয়ার জন্য দ্বিতীয় ম্যাচে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সূর্য। তবে তিনি বেশ কয়েকটি এমন শট খেলেছেন যেগুলি রীতিমত অসম্ভব। এই শট রীতিমতভাবে অন্য কোন ব্যাটসম্যানের খেলা সম্ভব না। নিচে রইলো সূর্য কুমার যাদবের ৫ টি অসম্ভব শট যা তিনি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেললেন।
তিনি যখন ক্রিজে আসেন, তখন ভারতের স্কোর ছিল এক উইকেটে ৩৬ রান। যেখানে অন্য ভারতীয় ব্যাটাররা সেভাবে ছন্দ পাচ্ছিলেন না, সেখানে ঝড় তোলেন সূর্য। ৩৩ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটার। দেখে নিন সূর্য কুমার যাদবের সেই অসাধারণ এবং রীতিমতো অবাস্তব শেষ শট :
তারপর সেঞ্চুরি করতে মাত্র ১৬ বল লাগে সূর্যের। লকি ফার্গুসনের ১৯ তম ওভারে ২২ রান তোলেন। প্রথম বলে চার মারেন। দ্বিতীয় বলে কোনও রান হয়নি। তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে ফের চার মারেন। ৪৯ বলে পূরণ করেন শতরান। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সূর্যের দ্বিতীয় শতরান। শেষপর্যন্ত ৫১ বলে ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন সূর্য। অর্থাৎ স্ট্রাইক রেট ছিল ২১৭.৬৪।
উল্লেখ্য, সেই বিধ্বংসী ইনিংসের পর সূর্যকুমার বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শতরান সবসময় স্পেশাল হয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত ব্যাট করতে পারার বিষয়টাও আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমায় হার্দিক (হার্দিক পান্ডিয়া) বলেছিল। আমাদের ১৯০-১৯৫ রান তোলার লক্ষ্য ছিল। সেখানে পৌঁছাতে পেরে অত্যন্ত খুশি আমি। ১৬ তম ওভারে আমাদের আলোচনা হয়েছিল এবং শুধুমাত্র (দীপক) হুডা ও ওয়াশিংটন (সুন্দর) থাকায় আমরা শেষপর্যন্ত খেলাটা নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আমি নেট এবং অনুশীলনেও একইরকম কাজ করছি। ‘