হরপ্পা সভ্যতার পরবর্তী যে চ্যাপ্টার আমাদের পড়তে হয় সেটা হচ্ছে বৈদিক যুগ। বৈদিক যুগের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো জানতে হবে।
- বেদ চারভাগে বিভক্ত ঋগ্বেদ, সামবেদ, যজুর্বেদ , অথর্ববেদ।
- ঋগ্বেদ, সামবেদ এবং যজুর্বেদ কে একত্রে বলা হতো ত্রয়ী।
- বেদের শেষ ভাগ কে বলা হয় উপনিষদ (বেদান্ত)
- উপনিষদের সংখ্যা 108 টী।
ঋকবেদ
- এটি সবচেয়ে পুরনো।
- ঋকবেদে ১০২৮ টী স্তোত্র আছে যার মধ্যে ১০২৭ আসল এবং ১ টি স্তোত্র পরে যুক্ত হয়েছে।
- ঋকবেদ ১০ টী মন্ডলে বিভক্ত, সাত নম্বর মন্ডলে পাওয়া যায় ১০ রাজ্যের যুদ্ধের কথা
- ঋকবেদের ১০ নাম্বার মণ্ডলে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র চারটি বর্ণের কথা বলা হয়েছে।
- গায়ত্রী মন্ত্র দেবী সাবিত্রীর উদ্দেশ্যে উচ্চারিত হয়।
কার জন্ম কোথা থেকে হয়েছে?
- ব্রাহ্মণ এর জন্ম – ব্রহ্মার মুখ থেকে
- ক্ষত্রিয়ের জন্ম – ব্রহ্মার হাত থেকে
- বৈশ্যের জন্ম – ব্রহ্মার থাই থেকে
- শূদ্রের জন্ম – ব্রহ্মার পা থেকে
যজুর্বেদ
- যজুর্বেদ কে প্রার্থনার বই বলা হয়।
- এটি কিছুটা গদ্যে এবং কিছুটা পদ্যে লেখা হয়েছে
- এটি দুই ভাগে বিভক্ত শুক্ল যজুর্বেদ এবং কৃষ্ণ যজুর্বেদ
সামবেদ
- প্রথম গানের ব্যবহার পাওয়া যায় সামবেদ এ ।
- এটিতে ১৬০৩ টী পদ্য আছে।
- গন্ধর্ব উপবেদ সামবেদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
অথর্ব বেদ :
- অথর্ববেদ কে বলা হয় জাদু পুস্তক
- এই বেদে বশীকরণ ভুত-প্রেত ও রোগের কথা বলা হয়েছে।
বৈদিক যুগের বৈশিষ্ট্য :
- বৈদিক যুগে নারীদের স্থান পুরুষের সমান ছিল।
- নারীরা ব্রহ্মচর্য পালন করত, সভা সমিতিতে অংশগ্রহণ করত।
- পরিবারের প্রধানকে বলা হতো কুলপ।
- ব্যবসায়ীদের বলা হতো পানি।
- স্বর্ণ মুদ্রার নাম ছিল নিস্ক।
- অগ্নি ছিল পার্থিব ও দেবতা
- প্রকৃতির দেবতা ছিল ইন্দ্র যাকে ঋকবেদে পুরন্দর বা দুর্গ ধ্বংসকারী বলা হয়েছে, ২৫০ টী স্তোত্র আছে ইন্দ্রের উদ্দেশ্যে।
- বিনা ছিল আর্যদের প্রধান বাদ্যযন্ত্র
- তামা সোনা ও ব্রোঞ্জের ব্যবহার আর্যরা জানতো।
আরণ্যক :
এই অংশটিতে উল্লেখ করা হয়েছে অরণ্যবাসী সন্ন্যাসী ছাত্রদের কথা। এই অধ্যায়ে ধানের কথা বলা হয়েছে । বলির কথা বলা হয়নি।
আজ এটা থেকে কুইজ হবে সন্ধ্যে ৭.৩০ তে। All the best