“ভারতীয় দলে এখন দুজন বীরেন্দ্র সেহবাগ রয়েছে” : নাম জানিয়ে দিলেন বীরু!

ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম আক্রমণাত্মক ব্যাটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। টেস্ট ক্রিকেটেও রীতিমতো মারকুটে মেজাজে ব্যাট করতেন তিনি। ওয়ানডের ঢঙে টেস্টে ব্যাট করতেন তিনি। টেস্টেও সাকলেন মুস্তাকের মতো বোলারকে একের পর এক ছয় মেরেছিলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। সম্প্রতি এক আলোচনায় বীরুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বর্তমান সময়ের কোন ক্রিকেটারকে দেখে তাঁর নিজের কথা মনে হয়! উত্তরে দুজন ক্রিকেটারের নাম নিয়েছেন তিনি।

যাদের মধ্যে একজন ঋষভ পন্ত এবং অপরজন পৃথ্বী শ। বীরেন্দ্র সেহওয়াগের মতে টেস্টে পন্তের ব্যাটিং দেখে নিজের ব্যাটিংয়ের কথা মনে পড়ে।ভারতের হয়ে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ তিন ফর্ম্যাটেই দুরন্ত ব্যাটিং করেছেন। ভারতের হয়ে টেস্টে ৮৫৮৬, ওয়ানডেতে ৮২৭৩ এবং টি-২০’তে ৩৯৪ রান করেছেন তিনি। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের জন্য জনপ্রিয় বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। সমর্থকদের আদরের বীরু স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিলেন বর্তমান ভারতীয় দলে কোন ব্যাটার তাঁর মতো ভয়ডরহীনভাবে ব্যাটিং করেন না। তবে টেস্টে কিছুটা হলেও পন্ত তাঁর মতন ব্যাটিং করেন। পাশাপাশি তিনি পন্তকে আরও ভয়ডরহীনভাবে ব্যাটিং করার পরামর্শ দিয়েছেন। যাতে পন্ত আরও শতরান হাঁকাতে পারেন।

```

নিউজ ১৮ ইন্ডিয়ার এক আলোচনাসভায় বীরেন্দ্র সেহওয়াগ জানিয়েছেন, ‘আমি মনে করি না ভারতীয় দলে এমন কোনও ক্রিকেটার এই মুহূর্তে রয়েছে যে আমার মতো ব্যাটিং করে। তবে আমি দুজন ক্রিকেটারের নাম নেব যারা কিছুটা হলেও আমার ব্যাটিং স্টাইলের কাছাকাছি আসবে তাঁরা হল পৃথ্বী শ এবং ঋষভ পন্ত। টেস্ট ক্রিকেটে আমি যে স্টাইলে ব্যাটিং করতাম ঋষভ পন্ত কিছুটা হলেও তার কাছাকাছি আসবে। তবে পন্ত ৯০-১০০ করেই যেন সন্তুষ্ট হয়ে যায়। আমি কিন্তু ২০০, ২৫০, ৩০০ রান করতাম।

আমি মনে করি ও যদি নিজের খেলাকে আরও এক ধাপ উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে তাহলে ও আরও বেশি করে দর্শকদের আনন্দ দিতে পারবে। আমি টেনিস বলে ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছি। যেখানে আমার লক্ষ্য থাকত যত বেশি সম্ভব বাউন্ডারি মেরে যত দ্রুত রান করা যায়। সেরকম ভাবনা চিন্তা নিয়েই আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটাও খেলতাম। আমি সবসময় মনে মনে হিসেব করতাম আর কতগুলি বাউন্ডারি হাঁকালে আমি শতরান করতে পারব।

```

আমি যখন ৯০’তে ব্যাট করছি তখন থেকে আমি যদি ১০টা বল খেলি ১০০ করতে তাহলে তো বিপক্ষের হাতেও ১০টা বল রয়ে যাচ্ছে আমাকে আউট করার। আর সেই কারণেই ওই সময়ে আমি বাউন্ডারি মারার দিকে নজর দিতাম যাতে করে বিপক্ষের হাতে মাত্র দুই বল থাকে আমাকে আউট করার। তাহলে ঝুঁকিটাও অনেক কমে যেত।’