ভারতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে এই নিয়ে প্রশ্নের উঠতে শুরু করেছে যখন আর মাত্র কিছুদিন বাকি বিশ্বকাপ শুরু হতে, তার আগে এই পরীক্ষা কতটা যথার্থ। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী যদি পরীক্ষা করাই হয় তাহলে আগে করা হলো না কেন? বিশ্বকাপে কেএল রাহুল এবং শ্রেয়স আইয়ার খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।সেই জায়গা পূরণ করার জন্য ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ক্রিকেটারকে দেখে নেওয়া হচ্ছে।
দলের তারকা অলউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা সম্প্রতি জানিয়েছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড় বিশ্বকাপের দল তৈরি করছেন। ভারতীয় প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকর এবং টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য একটি ‘অসাধারণ’ পরামর্শ দিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। যা সম্ভবত ভারতের মিডল অর্ডারের সমস্যা সমাধান করতে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী বর্তমান ভারতীয় দলে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য ডানহাতি বা-হাতি কম্বিনেশনের খুব প্রয়োজন। প্রায় প্রত্যেককেই এই কম্বিনেশনের কথা বলেছেন। ভারতীয় দলে রবীন্দ্র জাদেজা বাঁ-হাতি হিসেবে থাকছেন তা বলাই যায়। তরুণ ক্রিকেটার ইশান কিষান বিকল্প হিসেবে রয়েছেন। ঋষভ পন্ত যদি চোট কাটিয়ে ফিরিয়ে আসতে পারেন তাহলে ভারত আরও বেশি বিকল্প পাবে।
তবে ভারতের তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন তাঁর ইউটিউব ভিডিয়োতে তিলক বর্মার কথা তুলে ধরেছেন।বর্মা কিছুদিন আগে ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের হয়ে অভিষেক ঘটিয়েছেন। সেখানে প্রথম ম্যাচে তিনি ২৫ বলে ৩৯ রান করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে অর্ধশত রান করেন। অশ্বিন তিলকে নিয়ে বলেন, ‘তিলক বর্মা নিজের অভিষেক সকলকে ওর দিকে নজর দিতে বাধ্য করেছে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সেই ধীরগতির পিচেও তাকে অপ্রতিরোধ্যের দেখা গিয়েছিল। ওর ব্যাটিং শৈলী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেককারী একজন ভারতীর থেকে খুব আলাদা। ওর খেলা অনেকটা রোহিত শর্মার মতোই। পুল শটও ভালো মারে। সাধারণত ভারতের ব্যাটাররা পুল শট খেলার জন্য সেট আপ করবে না। কিন্তু তার খেলা দেখে মনে হচ্ছে প্রাকৃতিকগতভাবে পুল শট মারার দক্ষতা রয়েছে ওর। বল অজি ব্যাটারের মতোই বাউন্ডারির বাইরে পাঠায়। ওকে ভারতীয় একদিনের দলে ডাকা বা এইসব বলা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ওই ম্যাচটা দুর্দান্ত ছিল।’
এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সঞ্জু ওয়ানডেতে ভালো পারফরম্যান্স করছে। তিলক একজন বাঁ-হাতি হিসেবে এগিয়ে আছে তা ঠিকই। ভারতীয় দলে বাঁহাতিদের খুব অভাব। প্রথম সাতজন ব্যাটারদের মধ্যে জাড্ডু একমাত্র বাঁহাতি। অন্যান্য দলের দিকে তাকালে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাস্টন এগর আছে। ইংল্যান্ডে মইন আলি এবং আদিল রশিদের আছে। তাই বাঁ-হাতি ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ করার জন্য বেশিরভাগ দলেই আঙুলের স্পিনার নেই। তাই তিলকের অভিষেক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিলকে পরীক্ষা করার জন্য ভারতের কাছে শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট রয়েছে। তিলকের কাছে আয়ারল্যান্ডে তিন ম্যাচের সিরিজে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অশ্বিন স্বীকার করেছেন সঞ্জু স্যামসনকে যে কোনও উপায়ে ওডিআই ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসাবে প্রথম পছন্দের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।