এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের একছত্র অধিপত্য। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপকে তাসের ঘরের মতো ভেঙে ফেলে দিলেন মহম্মদ সিরাজরা। খেলা শুরু হতে না হতেই শেষ। টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত কাজে লাগল না শ্রীলঙ্কার। মাত্র ৫০ রানে ইনিংস শেষ হয়ে গেল লঙ্কা বাহিনীর। শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কার ইনিংসে এই আগুন ধরালেন মহম্মদ সিরাজ। তাঁর আগুনে বোলিংয়ের সামনে টিকতে পারলেন না শ্রীলঙ্কার কোনও ব্যাটারই। মাত্র ৫১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ফাইনালে রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল ভারত।
এশিয়া কাপ তাদের হাতে ওঠা এখন মাত্র সময়ের অপেক্ষা।টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথম থেকেই ধুকতে থাকে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং। এক রানে উইকেট পড়ে যায় তাদের। শুরুটা অবশ্য করেছেন জসপ্রীত বুমরাহ। এরপরেই নিজের ঝলসানো ফর্ম দেখাতে থাকেন সিরাজ। এক ওভারে ৪ উইকেট নিলেন মহম্মদ সিরাজ। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপকে কার্যত ভেঙে গুড়িয়ে দিলেন ভারতীয় দলের এই পেসার।ম্যাচের ৪ ওভারের মাথায় বল করতে আসেন মহম্মদ সিরাজ। তিনি বল করতে আসতেই ভেঙে পড়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ। সিরাজের প্রথম শিকার পাথুম নিশঙ্কা। দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন জাদেজা। ঝাপিয়ে ক্যাচ ধরে নেন তিনি।
স্বাভাবিক ভাবেই জাদেজার সেই ক্যাচ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। এরপরই ধস নামে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ে।ঠিক সেই ওভারেই অর্থাৎ ৩.৩ ওভারের মাথায় সাদিরা এলবিডব্লু হয়ে ফিরে যান। ঠিক পরের বলেই ফের উইকেট তুলে নেন সিরাজ। এবার তাঁর শিকার আসালঙ্কা। যদিও পরের বলে সিরাজের বলে চার মারেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। শুধু তাই নয়, বল ধরতে একাই দৌড়তে থাকেন সিরাজ। যা দেখে হাসতে থাকেন বিরাট কোহলি, শুভমন গিলরা। কিন্তু ওভার তখনও শেষ হয়নি। ওভারের শেষ বলেই ফের উইকেট নেন সিরাজ।
ধনঞ্জয়াকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এক ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন ভারতীয় এই পেসার। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংকে একার হাতে দুরুমুশ করে দেওয়ার পর ৬ উইকেট নেওয়া মহম্মদ সিরাজ বলেন, ‘এই ইনিংসটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো লাগছে। গতবার ত্রিবান্দ্রমে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অনেকটা এইরকমই করেছিলাম। সেবার আমি শুরুতেই চার উইকেট পাই। কিন্তু সেটাকে পাঁচ উইকেটে পরিণত করতে পারেনি। হয়তো ভাগ্যে এই ম্যাচটা লেখা ছিল। আজকে অতিরিক্ত বিশেষ কিছু করিনি। ক্রিকেটে আমি সবসময় বোলিং করার কথা ভাবি । তবে আগের ম্যাচগুলিতে খুব একটা সুইং পাইনি। আজ বলে সুইং হচ্ছিল। আউট সুইং করে বেশি উইকেট পেয়েছি।’
সিরাজ যতগুলি বলে উইকেট পেয়েছেন সেগুলো তো বটেই তবে সেই বল গুলি ছাড়াও অসংখ্য বল ব্যাটের পাশ দিয়ে কিপারের হাত পর্যন্ত পৌঁছে গেছে যেগুলোতে যেকোনো সময় হালকা লেগে যেতেই পারতো। আর সেই জন্যই সিরাজের মনে হয়েছে আরো একটা দুটো অবশ্যই পাওয়া যেতে পারতো কারণ সত্যিই ব্যাট এর পাশ দিয়ে এসে অনেকগুলো বল সে পার করেছে।
সব মিলিয়ে, সমগ্র এশিয়া কাপে ভারতীয় দল যে দাপট দেখিয়েছে তা স্পষ্টই বিশ্বকাপের ময়দানেও ভারতকে অনেক বেশি কনফিডেন্স যোগাবে।