শ্রীলংকার বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ফাইনালে আজ মুখোমুখি হয়েছিল ভারত তবে ম্যাচ যে এত তাড়াতাড়ি এবং এতটা একতরফা হয়ে যাবে সেটা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। ভালো ব্যাটিং পিচের উপর ভারতীয় দল এতটা ভালো বোলিং করবে সেটা হয়তো কেউ কল্পনাও করতে পারিনি। আর ভারতীয় দলের এই অনবদ্য পারফরমেন্সের অন্যতম কান্ডারী মোঃ সিরাজ। মাঠে ভারতের হয়ে আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। মহম্মদ সিরাজের গতিতে ধরাশায়ী হয়েছে শ্রীলঙ্কা। ফাইনালে মাত্র ৫০ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছে তারা। ম্যাচের সেরা হয়েছেন সিরাজ। ম্যাচ জিতে ৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা পেয়েছেন তিনি। পুরস্কারের সেই টাকা পুরোটাই ফিরিয়ে দিয়েছেন সিরাজ।
কলম্বোর মাঠকর্মীদের সেই টাকা দিয়ে দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় বোলারের মতে, মাঠকর্মীদের জন্যই বৃষ্টির মধ্যেই খেলা সম্ভব হয়েছে। তাই নিজের পুরস্কার মূল্য তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছেন সিরাজ। ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে শেষে সিরাজ বলেন, ‘‘এই পুরস্কার কলম্বোর মাঠকর্মীদের প্রাপ্য। ওঁরা না থাকলে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করাই যেত না। তাই এই টাকা ওঁদের হাতে তুলে দিতে চাই।’’ ভারতের হয়ে এক দিনের ক্রিকেটে নতুন বলেই বল করেন সিরাজ। কিন্তু সাধারণত ক্রস সিম (বলের সিমের সঙ্গে আঙুল থাকে আড়াআড়ি) ধরে বল করেন তিনি। ফলে পিচে বল সিমে পড়ে না। ক্রস সিমে বল করলে পিচে পড়ে কোনও বল লাফিয়ে ওঠে। আবার কোনও বল একটু নীচের দিকে থাকে। এ ভাবে বল ধরলে সাধারণত ইনসুইং বেশি হয়।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজের সিম বদলে ফেলেছিলেন সিরাজ। ভারতীয় পেসার বলেন, ‘‘আমি সাধারণত ক্রস সিমে বল করি। কিন্তু এই ম্যাচে সিম ধরে বল করছিলাম। তাই ইনসুইংয়ের থেকে আউটসুইং বেশি হচ্ছিল। সেটাই কাজে লাগিয়েছে। বেশির ভাগ ব্যাটার আউটসুইংয়ে আউট হয়েছে। আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।’’
ব্যাটারদের পায়ের কাছে বল করেছেন সিরাজ। খেলতে বাধ্য করেছেন। যে লেংথে সিরাজ বলে করেছেন সেই লেংথ থেকে ব্যাটারদের শট খেলতে সুবিধা হয়। কিন্তু সেই লেংথে বল করেই সাফল্য পেয়েছেন ভারতীয় পেসার। এই প্রসঙ্গে সিরাজ বলেন, ‘‘উইকেট থেকেই সব হচ্ছিল। বল সুইং করছিল। তাই আমি বেশি কিছু করার চেষ্টা করিনি। শুধু ব্যাটারের ব্যাটের কাছে বল করার চেষ্টা করেছি। তার পরে বাকি কাজ পিচ করেছে। ব্যাটারদের খেলানোর চেষ্টা করেছি। তাতেই সফল হয়েছি।’’
সবমিলিয়ে এই সিরিজে ভারতীয় দল যেভাবে দাপটের সাথে ক্রিকেট খেলেছে তাতে আগামী এক মাসের থেকেও কম সময় বাকি আছে বিশ্বকাপের জন্য সেখানে ভারতীয় দল যে অনেক বেশি কনফিডেন্ট থাকবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আগামী ২৯ তারিখে ভারতীয় দল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে বিশ্বকাপের প্রথম প্র্যাকটিস ম্যাচ এবং তারপরে ৩ তারিখে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে দ্বিতীয় প্র্যাকটিস ম্যাচ।