‘বুড়ো’ হলে বুঝবে! শুভমন ১০৪ রান করলেও রেগে আগুন সেহওয়াগ, শুনিয়ে দিলেন কড়া কথা

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে দুরন্ত জয় এসেছে ভারতের। তার মধ্যে সবথেকে বেশি যিনি নজর কেড়েছেন তিনি ভারতীয় দলের যুব ওপেনার শুভমান গিল। ইন্দোরে শতরান করেছেন তিনি। অজি বোলারদের নিয়ে কার্যত ছেলে খেলা করেন শুভমন গিল। শুধু এই তরুণ ব্যাটার একা নন, পাশাপাশি শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল, সূর্যকুমার যাদবরা বড় রান করেন। ভারতীয় ব্যাটারদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ভর করে ম্যাচ ৩৯৯ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআইতে এটাই সর্বোচ্চ রান। সহজেই ম্যাচ জিতে যায় ভারত।

এই ম্যাচে শতরান করেন গিল। তবে মোহালিতে অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় ভারতীয় তরুণ ব্যাটারের। ৭৪ রান করে ফিরে যান তিনি। মোহালিতে শতরান হাতছাড়া হলেও ইন্দোরে সেঞ্চুরি করতে ভোলেননি গিল। সেই সঙ্গে একাধিক রেকর্ড গড়েন তিনি। সচিন তেন্ডুলকর, রিকি পন্টিং এবং পাকিস্তানের জাহির আব্বাসের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। এক বছরে তিনি ওডিআইতে ১২০০ রান করে ফেলেছেন পঞ্জাবের এই তরুণ ব্যাটার।বিশ্বকাপের আগে গিলের এই ফর্ম যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা অনেক ভুগিয়েছে দলকে। সেদিক থেকে গিল এখন বেশ ভরসা দিচ্ছে।

ইন্দোরে তাঁর এই ইনিংস যেন সেটাই প্রমাণ করেছে। ক্রিকবাজের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় বীরেন্দ্র সেহওয়াগ মনে করেন গিলের আরও বড় রান করা উচিত ছিল। বীরু বলেন, ‘গিল গত ম্যাচে শতরান মিস করেছে। তবে এই ম্যাচে ও সেঞ্চুরি পেয়েছে। কিন্তু আমার কোথাও মনে হয়েছে, গিলের যে ফর্মে রয়েছে, তাতে ও এখন ১৬০ থেকে ১৮০ রান করতে পারত। কারণ ওর বয়স মাত্র ২৫। অনেকটা বড় ইনিংস খেলার ক্ষমতা রাখে। যদি ও এই ম্যাচে ২০০ রানও করত তাহলেও কোনও ভাবে ক্লান্ত হত না। যদি ও ৩০ বছর বয়সে গিয়ে এই রান করত তাহলে ক্লান্ত হয়ে পড়ত। সেক্ষেত্রে ব্যাটিং করে ফিল্ডিং করতে অনেকটা সমস্যা হত।’

প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বলেন, ‘তুমি যখন ফর্মে রয়েছ এবং রান করছ তখন উইকেট উপহার দিয়ে আসলে চলবে না। যখন গিল আউট হয়, তখন ম্যাচে ১৮ ওভার বাকি ছিল। ফলে চাইলেই আরও ৮-১০ ওভার খেলে আসা যেতেই পারত। সেক্ষেত্রে ২০০ রান করা কোনও কঠিন কাজ ছিল না। হোলকারের মতো স্টেডিয়ামের পিচে। কিন্তু গিল নিজের উইকেট দিয়ে আসে। ওর বয়স কম হলেও অভিজ্ঞতা অনেকটাই বেড়েছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার হয়েও কেন এমন করল জানি না।’

ইন্দোর যে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট তা সবারই জানা। কারণ এই মাঠেই ২০১১ সালে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ২১৯ রান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। রোহিতও এখানে বড় রান করেছে। বড় রান করার জন্য বেশ ভালো পিচ। তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বীরু।

সব মিলিয়ে ভারতীয় দল যে বিশ্বকাপে একটি শক্তিশালী দল এবং আকাশ সমান কনফিডেন্স নিয়ে যাবে সেই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।