শুভমন গিল অসুস্থ হওয়া মাত্রই ভারত বিশ্বকাপের শুরুতেই প্ল্যান-বি কার্যকরী করার সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থাৎ, প্রাথমিক পরিকল্পনা দূরে সরিয়ে রেখে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে বাধ্য হয় টিম ইন্ডিয়া। ওপেনে গিলের বিকল্প হিসেবে ইশানকে আগে থেকেই তৈরি রাখে ভারত। সেই সঙ্গে আগে থেকে এও নিশ্চিত করা হয় স্লিপে গিলের বদলে কে ফিল্ডিং করবেন। শনিবার চেন্নাইয়ে অনুশীলনের অনেকটা সময় ধরে স্লিপে ক্যাচ ধরা অভ্যাস করেন বিরাট কোহলি। এমনটা নয় যে, স্লিপে ফিল্ডিং করতে অভ্যস্ত নন বিরাট। বরং স্লিপ ফিল্ডার হিসেবে কোহলি ইতিমধ্যেই নির্ভরযোগ্য। টেস্টে নিয়মিত স্লিপে ফিল্ডিং করেন তিনি। এবার গিল না থাকায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে তাঁকেই যে গুরুত্বপূর্ণ সেই জায়গায় ক্ষেত্ররক্ষণ করতে হবে, সেটা জানতেন কোহলি।
প্রস্তুতি ছিল সেই জন্যই।যে কাজের জন্য নিজেকে তৈরি রেখেছিলেন কোহলি, বিশ্বকাপ অভিযানের একেবারে শুরুতেই তাঁকে সেই পরীক্ষায় বসতে হয়। শেষমেশ সেই পরীক্ষায় সসম্মানে পাশ করেন বিরাট। চিপকে ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই স্লিপে ফিল্ডিং করার সময় মিচেল মার্শের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন কোহলি। আর বিরাটের এই ক্যাশ ম্যাচে একটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল তার কারণ, মার্শ ভীষণ বিপদজনক একজন ব্যাটসম্যান সে যতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবে 4-6 মারতেই থাকবে, চুপচাপ খেলার ব্যাটসম্যান সে মোটেও নয়। আর কোহলির এই কাজ মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়.
২.২ ওভারে জসপ্রীত বুমরাহর অফ-স্টাম্পের সামান্য বাইরের বলে ব্যাটের কানা ছুঁইয়ে বসেন মার্শ। বল উড়ে যায় স্লিপে দাঁড়ানো কোহলির বাঁ-দিকে। কোহলি দু’হাত বলের পিছনে নিয়ে গিয়ে শরীর ফেলে অনবদ্য ক্যাচ ধরেন। ফলে খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় অজি ওপেনারকে। দেখুন ভিডিও :
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মার্শের ক্যাচ ধরা মাত্রই বিশ্বকাপের ইতিহাসে অনবদ্য এক রেকর্ড গড়েন কোহলি। ভারতীয় ফিল্ডার হিসেবে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সব থেকে বেশি ক্যাচ ধরার নজির গড়েন তিনি। বিরাট বিশ্বকাপের ২৭টি ইনিংসে ফিল্ডিং করতে নেমে মোট ১৫টি ক্যাচ ধরলেন। তিনি ভেঙে দেন অনিল কুম্বলের রেকর্ড। কুম্বলে বিশ্বকাপের ১৮টি ইনিংসে মোট ১৪টি ক্যাচ ধরেছেন।
সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া কে পরাজিত করে ভারতীয় দল বেশ কিছুটা এগিয়ে গেল এটা বলাই চলে কারণ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া অত্যন্ত শক্তিশালী দল হিসেবেই মান্যতা পেয়ে থাকে, তাদেরকে পরাজিত করা মানে এটা বলা যায় যে ভারতীয় দল ঠিক জায়গাতেই রয়েছে।
পাশাপাশি সামনে রয়েছে ভারত পাকিস্তান খেলা ১৪ তারিখে এবং সেই ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা এবং উত্তেজনা বাড়ছে। তবে অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করে ভারতীয় দল যে বেশ কিছুটা কনফিডেন্স পাবে সেই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।